৯ মাস বন্ধ থাকার পর বান্দরবান সদরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের বুদ্ধ ধাতু জাদি (স্বর্ণ মন্দির) দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে

৯ মাস বন্ধ থাকার পর বান্দরবান সদরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান
বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের বুদ্ধ ধাতু জাদি (স্বর্ণ মন্দির)
দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে
টানা ৯ মাস পর বন্ধ থাকার পর দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে বান্দরবানের অন্যতম দর্শনীয় স্থান বুদ্ধ ধাতু জাদি মন্দির (স্বর্ণ মন্দির)। রবিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান উৎসবে বান্দরবান কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের ধর্মীয় গুরু উ প ঞ ঞ্যা  জোতথের (উচহ্লা ভান্তে) এ ঘোষণা দেন। দীর্ঘ ৯ মাস পর প্রশাসনের অনুরোধে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য এ দর্শনীয় স্থানটি উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
গত ২০ ফেব্রুয়ারী থেকে বান্দরবানের অন্যতম দর্শনীয় স্থান স্বর্ণ মন্দির পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কর্তৃপক্ষ, এর পরপরই পূজারী ব্যতীত কেউ এ মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেনি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকের বান্দরবান বেড়াতে আসলে ও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় কোন পর্যটক এই স্বর্ণ মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেনি।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায় ,দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা বৌদ্ধ মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট, অসদাচারণ, ভান্তেদের হয়রানি, মন্দিরের বিভিন্ন মূর্তি স্পর্শ করে পবিত্রতা নষ্টের পাশাপাশি মন্দিরের পূজার দ্রব্য ফেলে দেয়াসহ জুতা নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করার কারণে স্বর্ণ মন্দির পরিচালনা কমিটি মন্দিরে প্রবেশ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। দীর্ঘ ৯ মাস পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আগামী ১৬ নভেম্বর স্বর্ণ মন্দির সকলের জন্য উন্মুক্ত  করে দিচ্ছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে বান্দরবানের কেন্দ্রীয় রাজগুরু বৌদ্ধবিহারে কঠিন চীবরদান উৎসব শেষে এক মতবিনিময় সভায় স্বর্ণ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা উপঞ ঞা জোত মহাথেরো (উচহ্লা ভান্তে) এ ঘোষণা দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, জেলা দায়রা জজ শফিকুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, জেলা প্রশাসক দিলী পকুমার বণিক ও পুলিশ সুপার সঞ্জিতকুমার রায়, পৌর মেয়র ইসলাম বেবীসহ অনেকে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার কারনে মন্দির কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করলেও এবার মন্দিরের নিরাপত্তায় পাঁচটি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা এবং নিরাপত্তায় পাঁচজন পুলিশ সদস্য এ স্থানে নিয়মিত নিয়োজিত থাকবেন। আগামী ১৬ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, জেলা প্রশাসক দিলীপকুমার বণিক ও পুলিশ সুপার সঞ্জিতকুমার রায় মন্দির পরিদর্শন করে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিবেন।
জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, পর্যটকদের চাহিদা অনুসারে পর্যটন কেন্দ্রটি খুলে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলে গুরু ভান্তে খুলে দেওয়ার জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
এদিকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পর্যটকরা যাতে মন্দির দর্শন করেতে পারে সে জন্য খোলা রাখা হবে, তবে প্রার্থনার জন্য দুপুরে দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকবে এবং এসময় কোন পর্যটক মন্দির পরিদর্শন করতে পারবেনা বলে জানান মন্দির কর্তৃপক্ষ।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930