অর্থনৈতিক শুমারী ২০১৩ এর রাঙ্গামাটি জেলার রিপোর্ট প্রকাশ

অর্থনৈতিক শুমারী ২০১৩ এর রাঙ্গামাটি জেলার রিপোর্ট প্রকাশ

॥ ফাতেমা জান্নাত মুমু ॥ রাঙ্গামাটি জেলায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে বাড়ছে পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া জাতিগোষ্ঠীদের আত্মকর্মসংস্থানও। তাঁর মধ্যে স্থায়ী প্রতিষ্ঠান ৫.২৩, অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠান-২.৫০ ও সামজিকভাবে গড়ে উঠেছ ২.৫৭ শতাংশ বুদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিসংখ্যানের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে অর্থনৈতিক শুমারীর এতথ্য প্রকাশ করা হয়।
এসময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার অর্থনৈতিক শুমারী রিপোর্ট ২০১৩ এর প্রকাশনার মোড়ক উম্মোচন করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যানের ব্যুরো প্যালানিং এন্ড ডেভেল্যাপম্যন্টের উপ-সচিব মো. জাফর আহমেদ খান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো, আবু শাহেদ চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ, রাঙ্গামাটি জেলা পরিসংখ্যানের উপ-পরিচালক মানবেন্দ্র নারায়ন দেওয়ান, পরিসংখ্যানের ব্যুরো উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা, রাঙ্গামাটি জেল পরিসংখ্যানের সহকারী পরিচালক মো. সাঈদুল হক, সাংবাদিক মোঃ মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
সেমিনারে প্রধান অতিথির হিসেবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যানের ব্যুরো প্যালানিং এন্ড ডেভেল্যাপম্যন্টের উপসচিব মো. জাফর আহমেদ খান বলেন, বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের প্রেক্ষিতে যে কোন বিষয়ে পরিসংখ্যান প্রনয়ন সহজতর এবং দ্রুত হয়েছে। পরিসংখ্যানগত বিষয়ে স্বচ্ছতা ও বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি দেশের অর্থনেতিক উন্নয়নের বর্তমান চিত্র বিবেচনা করেই ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্তারন করা হয়। এই প্রতিবেদনে দেশের প্রতিটি জেলার অর্থনৈতিক শুমারী অর্ন্তভূক্ত হওয়াতে জেলা ভিত্তিক অর্থনেতিকর্মকান্ড বিষয়ে স্বচ্ছ ধারনা পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারনরে জন্য পরিসংখ্যানের প্রয়োজন অপরিসীম। তাই পরিংখ্যানে এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে। সঠিক তথ্যের মাধ্যেমে পরিসংখ্যানের অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে। একটা সময় আমাদের দেশে পরিসংখ্যানের কার্যাক্রম তেমন প্রতিফলিত ছিলনা। কিন্তু বর্তমান যুগে তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়নের কারণে পরিসংখ্যান সংরক্ষণ করা যাচ্ছে। প্রকাশ পাচ্ছে এ সফলতা। আর এ বাংলাদেশে লোক সংখ্যাসহ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মানুষ জানতে পারছে। এছাড়া পার্বত্যাঞ্চলের বসবাসরত রহিঙ্গাদেরও পরিসংখ্যানের মাধ্যমে তার সঠিক তথ্যও নিধারণ করা হয়েছে।
সেমিনারে সরকারী কর্মকর্ত, সাংবাদিক, জন প্রতিনিধি, পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তা , শিক্ষকসহ ৫০ জন অংশ নেন।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31