আগামী জানুয়ারীতে ফেনী নদীর রামগড় অংশে
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতুর নিমার্ণ কাজ শুরু
॥ শ্যামল রুদ্র, রামগড় ॥ খাগড়াছড়ির রামগড় ও ত্রিপুরার সাবরুম এর ওপর দিয়ে প্রবাহিত ফেনী নদীর রামগড় অংশে আগামী জানুয়ারীতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু -১ এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আয়োজনে গত বুধবার ৭ ডিসেম্বর রামগড় পৌর মিলনায়তনে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের উপস্থিতে এক পর্যালোচনা সভার পর সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তরের কথা জানানো হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ দলের টিম লিডার ছিলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চট্রগ্রামের অতিরিক্ত প্রধান প্রকেীশলী বিধান চন্দ্র ধর অন্যদিকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের জাতীয় সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আনন্দ কুমার।
প্রকৌশলী বিধান চন্দ্র ধর সাংবাদিকদের জানান, ফেনী নদীর ওপর ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্যের সংযোগ সেতুটির নির্মাণ কাজ ভারতের অর্থায়নে নতুন বছরের জানুয়ারীতে শুরু হবে। ধারনা করা হচ্ছে ২০১৯ সাল নাগাদ এর কাজ সম্পন্ন হবে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর দুই দেশের একটি সার্ভে টিম সেতু নিমার্ণ এলাকার খুটিঁনাটি বিষয়ে পর্যালোচনা করার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ৬ জুন ঢাকা সফরের সময় ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ফেনী নদীর ওপর রামগড়- সাবরুম মৈত্রী সেতু -১ এর ভিত্তিপ্রস্তর উম্মোচন করেন।
পার্বত্য চট্রগ্রামের প্রবেশদ্বার হিসাবে পরিচিত ১৯২০ সালের সাবেক মহকুমা শহর খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় স্থলবন্দর স্থাপনের প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ দেড় যুগের পর আবারও গতি পেতে যাচ্ছে। ১৯৯৬ সালে সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রামগড়ে স্থলবন্দরের স্থাপনের ঘোষনা দেয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১৯৯৬ সালের ২৮ জুলাই স্থলপথ ও অভ্যন্তরীণ জলপথে ভারত ও মায়ানমার থেকে আমদানি-রপ্তানি বা খাদ্য ছাড়করণের উদ্দেশে দেশে ১৭৬টি শুল্ক ষ্টেশনের তালিকা ঘোষনা করে।
ওই তালিকায় ৪৮ নম্বর ক্রমিকে ছিল রামগড় স্থল শুল্কষ্টেশন। শুল্ক ও বর্ণিত পদ্বতি শর্তাবলী পালন করে পণ্যের গুনাগুন, পরিমাপ, মূল্য ও শুল্ক শ্রেণী বিন্যাস সম্পর্কিত প্রত্যয়নপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা যাবে।
জানা যায়, সরকার ঘোষিত ১৭৬টি স্থল বন্দরের বেশকিছু ইতিমধ্যে চালু হয়ে গেছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় রামগড় স্থলবন্দর স্থাপনের কাজ দীর্ঘদিন ফাইল চাপা থাকলেও ২০১০ সালে স্থলবন্দর স্থাপনের কাজ পুনরায় শুরু হয়।
দীর্ঘদিনধীরগতিতে কাজ চললেও সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ উভয় পক্ষ ত্বরিত গতিতে স্থলবন্দর বাস্তবায়নের কাজ শুরু করায় এলাকার ব্যবসায়ী মহল আশার আলো দেখছে।