চট্টগ্রামে সাত বছরের সেরা ফল
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান বৃহস্পতিবার এবারের ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তিনি জানান, এবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসিতে অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৭৯ হজার ৯৫ জন। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৬২ হাজার ৫২৪ জন পাস করেছে; পাসের হার ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গতবছর পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৩৫ জন শিক্ষার্থী; গতবছর পেয়েছিল ১২ হাজার ২৬৮ জন।
জেএসসি পরীক্ষা চালু হওয়ার পর এবারই চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার সবচেয়ে বেশি বলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান।
তিনি বলেন, ইংরেজি ও অংকে এবছর তুলনামূলকভাবে বেশি শিক্ষার্থী পাস করায় সামগ্রিক পাসের হারে উন্নতি হয়েছে।
এ বোর্ডে ইংরেজি প্রথম পত্রে পাসের হার এবার ৯৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ, যা গত বছর ৯২ দশমিক ১৫ শতাংশ ছিল।
আর ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে পাস করেছে ৯১ দশমিক ৭৪ শতাংশ, যা গতবছর ৯০ দশমিক ৭৮ শতাংশ ছিল। অংকে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ থেকে বেড়ে এবার ৯৬ দশমিক ০৫ শতাংশ হয়েছে।
এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দুই হাজার। গতবছর যেখানে ১২ হাজার ২৬৮ জন পূর্ণ জিপিএ পেয়েছিল, এবার পেয়েছে ১৪ হাজার ১৩৫ জন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক মো. আব্দুল মুবিদ বলেন, দুর্গম হওয়ায় তিন পার্বত্য জেলায় পাসের হার সাধারণত চট্টগ্রামের অন্যান্য এলাকার চাইতে কম থাকে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সার্বিক পাসের হারে তার প্রভাব পড়ে।
তবে এ বছর তিন পার্বত্য জেলায় জেএসসির পাসের হার বেড়েছে। রাঙামাটিতে পাস করেছে ৮৮ দশমিক ৩২ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা গত বছর ৮১ শতাংশ ছিল। বান্দরবানে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ, গতবছর ছিল ৭৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আর খাগড়াছড়ির পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮৯ দশমিক ৭০ শতাংশ হয়েছে।
জিপিএ–৫: শীর্ষ ৫ স্কুল
জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী সংখ্যার বিচারে গত বছরের মতো এবারও চট্টগ্রাম বোর্ডে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) উচ্চ বিদ্যালয়, খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজিয়েট হাই স্কুল।
বাওয়া স্কুল থেকে ৪৩৩ জন শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় অংশ নেয়; জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬৭ জন। খাস্তগীর স্কুলের ৩৩০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩২১ জন এবং কলেজিয়েটের ৩২৪ ছাত্রের মধ্যে ৩০০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
বাংলাদেশ নৌ বাহিনী স্কুলে এবার ৩৬৫ জন জেএসসি পরীক্ষা দেয়, তাদের মধ্যে ৩০০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৯০ জন এবং সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৮৫ জন পূর্ণ জিপিএ পেয়েছে।