ছোট হরিণায় বিজিবি ও বিএসএফ এর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত বৈঠক
॥ নন্দন দেবনাথ,সীমান্ত থেকে ফিরে ॥
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কোন সন্ত্রাসী বাহিনীর আশ্রয়স্থল গড়ে উঠতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। গতকাল বাংলাদেশ ছোট হরিণা ব্যাটালিয়নে বিজিবি ও বিএসএফ এর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে এক সীমান্ত বৈঠকে দুই দেশের সেক্টর কমান্ডাররা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন। বৈঠকে বলা হয়, সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধ, মাদকদ্রব্য পাচার, অবৈধ সীমান্ত পারাপার ও অন্যান্য সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে সৌহার্য্যপূর্ণ পরিবেশ যাতে বজায় থাককে সেই জন্য উভয় দেশের কমান্ডারা নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন।
গতকাল ছোটহরিণা ব্যাটালিয়নে বাংলাদেশের বিজিবি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি রাঙ্গামাটি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ আশরাফুল ইসলাম। বিএসএফ এর দলের নেতৃত্ব দেন বিএসএফ আইজল, মিজোরাম সেক্টারের ব্রিগেডিয়ার ইউপিএস পাঠানিয়া (রিটার্ড)।
পতাকা বৈঠকে বিজিবি বাংলাদেশ দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, ২৫ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়নের লেফটেন্ট কর্ণেল মোঃ সাহাবউদ্দিন ফেরদৌস, ২২ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়নের লেফটেন্ট কর্ণেল মোঃ আলাউদ্দিন আল মামুন, ৩৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়নের লেফটেন্ট কর্ণেল মোঃ তারেক বেনজির, ১৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়নের লেফটেন্ট কর্ণেল আশফাকুর রাহাত সিদ্দিক, রাঙ্গামাটি সেক্টরের স্টাফ অফিসার মোঃ ফজলে রাব্বি, পিবিজিএম, ২৫ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়নের সাকিব হাসান সানি।
বিএসএফ দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, ৯৯ বিওপির এসকে শৈলেন্দ্র কুমার সিনা, ১৮১ বিওপির সনজিব দাইয়া, ১৪৮ বিওপির হেমন্ড কুমার ইয়াদেভ, ওমেদ সিং রাথের, ওমা শংকর সহ অন্যান্য কমান্ডার পর্যায়ের অফিসাররা।
বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিবি রাঙ্গামাটির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১ ঘন্টা ব্যাপী বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরা হয় এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়। এই জিরো টলারেন্সে ভারতের ও সম্মতি রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা উভয় দেশের মাঝে সৌহার্দ্য পূর্ণ সম্পর্ক থাকার কারণে এই এলাকায় কোন ধরনের সীমান্ত সমস্যা নেই। তার পরও যদি কোন ধরনের সমস্যার তৈরী হয় তাহলে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে তা সমাধান করা হয়।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি রাঙ্গামাটির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমারের সাথে রাঙ্গামাটি জেলার কোন সম্পর্ক নেই। এই সমস্যা কক্সবাজার ও বান্দরবান কক্সবাজার সীমান্তের দিকে হয়ে থাকে। তার পরও আমরা সর্বাত্মক ভাবে সতর্ক আছি যাতে এই রকম কোন সমস্যা সৃষ্টির সাথে সাথে আমরা যাতে দুই দেশ মিলে সমাধান করতে পারি।
বিএসএফ আইজল, মিজোরাম সেক্টারের ব্রিগেডিয়ার ইউপিএস পাঠানিয়া (রিটার্ড) সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভারত-বাংলাদেশ উভয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে খুবই সতর্ক আছি। উভয় দেশে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে আমরা সীমান্তের কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বরদাস্ত করবো না এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। আমরা সীমান্তে চোরাচালন সহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করবো।