জুরাছড়ি বনযোগীছড়া জোনে মতবিনিময় সভা
পাহাড়ে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে সেনাবহিনীর যুদ্ধ ঘোষণা!
॥ সুমন্ত চাকমা, জুরাছড়ি ॥ দিন রাত পরিশ্রম করে উৎপাদিত ফসল থেকে চাঁদা নেওয়া খুবই দুঃখজন। এ সব চাঁদা টাকা দিয়ে অবৈধ অস্ত্র কিনে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে সন্ত্রাসীরা। তাদের দেশ নেই- জাতি নেই-নেই কোন ধর্ম। তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের বিরোধী। তাদের নির্মূল করতে সেনা বাহিনীর যুদ্ধ ঘোষনা।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) জুরাছড়ি বনযোগীছড়া জোনে মতবিনিময় সভায় জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কে এম ওবায়দুল হক একথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, এলাকায় চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার কার্য্যক্রম হিসেবে আগামী মাসে এক মহড়া আয়োজন করা হবে।
এ সময় মতবিনীময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদরে ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী দেওয়ান, ইউএনও প্রতিনিধি রিসোস সেন্টারের ইনিসটেক্টর ও মোঃ মরশেদুল আলম, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা ও বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, বিভিন্ন এলাকার হেডম্যান কার্ব্বারী, শিক্ষক, ইউপি সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্যগণ।
জোন অধিনায়ক আরো বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনে বিভিন্ন এলাকা থেকে ইতি মধ্যে অনেক অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে। অবশিষ্ট্য যে গুলো রয়েছে- সরকার যখন বলবে তখনি চলে যাবে। এখানে থাকবে পুলিশ আর বিজিবি। আমরাও সেটাই দ্রুত দেখতে চাই। এলাকায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখা গেলে এটি বাস্তবায়নে সহজ হবে বলে ইঙ্গিত করেন তিনি।
লেঃ কর্ণেল কে এম ওবায়দুল হক আরো বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে বাঁধার যথেষ্ট কারণও রয়েছে- এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা সর্বত্র শান্তি। একটি সন্ত্রাসী সংগঠন চাই না। সরকার, দেশ ও সমাজ বিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নিমূল করতে সরকার পার্বত্য এলাকায় সেনা বাহিনী রেখেছে। কোন সাধারণ মানুষের শাসন করার জন্য নয়। এ সব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নির্মূল হলে এখান থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে সেনা বাহিনী।
চুক্তি বিষয়ে একটি গ্রুপ এলাকায় বিশৃঙ্খল সৃষ্টি করছে। এই সন্ত্রাসী সংগঠনের চাহিদা হচ্ছে সেনা বাহিনী ক্যাম্পের পরিতাক্ত জায়গা হস্তান্তর সহ অপারেশ উত্তোলনের আদেশ তুলে নেওয়া হোক। তারা বলছে আমরা চুক্তি মানি না আপনারা সব সেনা বাহিনী পাহাড় থেকে সড়িয়ে ফেলা হোক। উদ্দেশ্য ভালও হতে পারে খারাপও হতে পারে। সাধারণ ভাবে চিন্তা করলে এটির উদ্দেশ্য খারাপিই হয়। কেন হঠাৎ করে সেনা বাহিনী সড়িয়ে ফেলার দাবী। এখানে কি সেনা বাহিনী সাধারণ মানুষের ক্ষতি করছে। অথচ পাহাড়ে সেনা বাহিনী উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় জোন উপ-অধিনায়ক মোঃসাইফ শামীম এর ধারা সঞ্চলনায় মৈদং ইউপি চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা, দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যান থানা এএসআই মোঃ আলমগীর জাহান, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা আশিষ কুমার ধর, পেরাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মমতা চাকমা বক্তব্য রাখেন।