থানচিতে ইট ভাটা জন্য নির্বিগ্নে পাহাড় কাটছে
॥ থানচি সংবাদদাতা ॥ থানচি উপজেলা প্রশাসনের নাগের ডগায় ইট ভাটায় ব্যবহারের নির্বিগ্নে পাহাড় কাটাচ্ছে এক প্রভাবশালী নেতা সেগুন বাগান কেটে পাহাড় কাটা ফলে মারাতক পরিবেশ ভারসাম্য হারাচ্ছে। প্রশাসনিকভাবে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে সাংগু নদীর ও তার আশে পাশে খাল ও ঝিড়িতে নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
ম্যানেজার সরোওয়ার হোসেন যা বললেন, আমাদের ইট ভাটায় পাহাড় কেটে মাটি ব্যবহার করার সম্পূর্ণভাবে বৈধ ও অবৈধ বলে কিছু নেই আপনারা জানা থাকলে বলেন। থানচি বান্দরবান ও থানচি আলিকদম সড়কে নির্মাণ ও সংস্কার বাস্তবায়ন কাজের সেনাবাহিনীর ইট নেন, স্থানীয় প্রশাসন হতে শুরু করে সকল নেতা ও মন্ত্রীর পর্যন্ত আমাদের হাতে মুঠোই। আমাদের মালিক প্রভাবশালী নেতা হাত অনেক লম্বা। কেউ কিছু করতে পারবেনা বলে প্রকাশে বললেন বিভিন্ন সময় চা দোকানে শ্রমিক লোকজনকে।
ম্যানেজার আরো বলেন, আমার কোম্পানি সূজন সাহেবের থানচি বাজার হতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র রাস্তা নির্মাণ কাজে চলছে। রাস্তা নির্মাণ কাজে স্থানীয় বালুর ও বিভিন্ন ঝিড়ি ঝর্ণা থেকে পানি উৎস বন্দ করে পাথর উক্তোলন ও ব্যবহার করছি নির্বিগ্নে আপনারা কেউ জেলে যেতে চাইলে বাঁধা দিবেন প্রকাশ্যে বললেন সরোওয়ার হোসেন।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে ১ কিলোমিটার থানচি আলিকদম সড়কে নিচে মরহুম মংঙৈ চেয়ারম্যানের জমিতে সেগুন গাছ তুলে বুলডোজার দিয়ে পাহাড় কাটা অবস্থা দেখা মিলে সাংবাদিক থের পেলে বুলডোজার, ট্রাক ড্রাইভার ও শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। নম্বারবিহীন ট্রাকে করে ৭/৮জন শ্রমিক মাটি অবাধে ভর্তি করছে। ড্রাইভার নাম বলতে রাজি না হলেও জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, সূজন কোম্পানি সাথে ম্যানেজার সরোয়ার ফোনে আলাপে আমাদেরকে পাঠানো হয়েছে মাটি কাটা ও মাটি ইট ভাটা পরিবহনের। আমাদের জানামতে স্থানীয় এমপি’র প্রতিনিধি মালিকানা জমির থেকে পাহাড় কাটার ও মাটি কিনেছেন ।
এই বিষয়ের ইট ভাটা সহকারী ম্যানেজার প্রদীপ দাশ নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাহাড় কাটা, ইট ভাটা তৈরী ও জালানি কাঠ ব্যবহারের আমাদের কোম্পানী সাহেব নিকট পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের আদেশ পত্র ও জেলা প্রশাসকে অনুমোদন রয়েছে তার ফটোকপি ও আমাদের দেয়া হয়নি এবিষয়ে আমি জানিনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, থানচি হেডম্যান পাড়া পূর্বে ৫০ গজ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উক্তরে ২০ গজ, বৌদ্ধ বিহারে থেকে ৩০গজের দূরত্বে ইটভাটায় অবস্থিত। প্রতিদিন রাত দিন ২৪ ঘন্টায় জেনারেটর ও ইটভাটায় ইটতৈরীর ইজ্ঞিন চালিয়ে বটবটে আওয়াজ ও চুল্লির ধোয়ার কারনে অনেকে বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খাসি,হাম, যক্ষাসহ বিভিন্ন ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। একজন শিক্ষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন আমাদের পাড়ায় সকল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জরুরী মনে করছেন। ইট ভাটা মালিক ও সংশ্লিষ্টরা অনেক প্রভাবশালী বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা,জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন আমাদের কথা শুনবেনা ।
গেল শুক্রবার রাস্তা নির্মাণ কাজে ঢালাইয়ের সময় কথা হলে সূজন কোম্পানির বিশ্বস্ত ম্যানেজার সরোওয়ার জানালেন, পাহাড়ে কয়লা আর মাটি কোথায় পাবো বলেন, পাহাড় কাটা ও কাঠের জালানি দিয়ে পোড়ানো জন্য সকলের প্রতি আমার কোম্পানি মাসোহারা দিয়ে যাচ্ছি এবং রাস্তায় কাজের স্থানীয় পাথর ও বালির ব্যবহারে ও দিয়ে যাচ্ছি ।
এই বিষয়ের থানচি রেজ্ঞ কর্মকর্তা কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হাজির হলে কর্মচারী কর্মকর্তা দির্ঘদিন থেকে অনুপস্থিত বলে কার্যালয়টি বন্ধ পাওয়া যায়। এই রিপোর্ট লিখার আগে শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম স্বপরিবারের তিনদিনের নাফাখুম ভ্রমনে থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় বক্তব্য নেয়ার সম্ভব হয়নি।