মাটিরাঙ্গায় আগুনে পুড়ে কিশোরীর আত্মহত্যার চেষ্টা
॥ মাটিরাঙ্গা সংবাদদাতা ॥ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে তাছলিমা আক্তার (১৭) নামের এক কিশোরী। সে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাঁঠাল বাগান এলাকার মো: ইয়াছিনের মেয়ে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় এলাকাবাসী মেয়েটিকে তার বাড়ি থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এ সময় মাটিরাঙ্গা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সব্যসাচী নাথ দগ্ধ রোগীকে ড্রেসিং, ইনজেকশন ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
তবে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন জানিয়ে গনমাধ্যম কর্মীদের তিনি বলেন, আগুনে প্রায় ৬৫ ভাগ পুড়ে গেছে তাছলিমার। অগ্নিদগ্ধা তাছলিমা নিকট এর কারণ জানতে চাইলে সে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: হানিফ হাওলাদার এর পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের দায়ী করে বলেন, তারা সব সময় আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, আমাকে অসামাজিক ভাষায় অপমান (টিটকারী) করে, তাই মনের দু:খে রোজ রোজ অপমান শয্য করতে না পেরে আগুনে পুড়ে মরতে চেয়েছি।
এ বিষয়ে তাছলিমার বাবা মো: ইয়াছিন অগ্নিদগ্ধের জন্য হাওলার পরিবারকে দায়ী করেছেন। তার মেয়ে তাছলিমারকে হত্যার চেষ্টায় প্ররোচনাকারী উল্লেখ করে প্রশাসনের কাছে জরিতদের দৃষ্টান্ত মুলক বিচারের দাবী জানান।
এদিকে এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে তাছলিমা কিছু সময়ের জন্য নিরুদ্দেশ ছিল। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তাকে পাওয়া গেলে বাড়িতে এনে তার বাবা মো: ইয়াছিন তাকে মারধর করে ঘরে তালা বদ্ধ করে রাখেন। পরে ঘরে তালা বদ্ধ অবস্থায় তাছলিমা নিজের গায়ে নিজে আগুন ঢেলে আত্বহত্যার চেষ্টা চালায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোন মামলা বা সাধারণ ডায়েরী করা হয়নি, তবে অগ্নিদগ্ধার বাবা ইয়াছিন ঘটনাটি মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্যকে মোবাইল ফোনে অবগত করেছেন।
অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: হানিফ হাওলাদারের কাছে তাছলিমার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমার পরিবারের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে মো: ইয়াছিনের মালিক পক্ষের সাথে। যেখানে ইয়াছিন পাহারাদার হিসেবে বসবাস করেন। কিছুদিন পুর্বে একটি মিথ্যা মামলায় আমার বড় ছেলেকে তারা জেল হাজতে পাঠিয়ে আমাকে সহ আরও অন্তত ৫ জন হাজতবাস করানোর হুমকি দিলে মাটিরাঙ্গা থানা নিরাপত্তার স্বার্থে আমি একটি সাধারন ডায়েরী করি। যার নং-৭২৯,তাং-১৬/১১/২০১৬ইং।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর সোহেল আরমান বলেন, আমি বিশেষ কাজে ফটিকছড়ি ছিলাম। তেমন কিছু জানিনা। তবে এলাকাবাসীর নিকট শুনেছি।