স্পন্সরশিপে নিয়ম ভেঙেছে গ্রামীণফোন: টেলিনরের নিরীক্ষা
সোমবার টেলিনরের ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “অভ্যন্তরীণ নীতিমালা ভঙ্গের এ ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সংশোধন ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
টেলিনর জানিয়েছে, এসব স্পন্সরশিপ চুক্তির মধ্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি ক্রীড়া আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষেত্রে নীতিমালার সবচেয়ে বড় বত্যয় ঘটানো হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, পুলিশ ক্যান্টিনের সংস্কার এবং পুলিশের একটি টেলিফোন ডিরেক্টরি প্রকাশে অর্থ সহায়তা এবং দুই সাংবাদিকের পশ্চিম আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা সফরের ভ্রমণ ব্যয় বহনের ক্ষেত্রেও অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন টেলিনরের নিরীক্ষকরা।
১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ যাত্রা শুরু করা গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন সেবাগ্রহীতার প্রায় অর্ধেক। এ কোম্পানির ৫৫ দশমিক ৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক নরওয়ের টেলিনর।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের মোট বাজার মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি গ্রামীণফোনের। স্বাভাবিকভাবেই এই টেলিকম অপারেটর দেশের বিজ্ঞাপন বাজারে অর্থ যোগানো অন্যতম বড় কোম্পানি।
টেলিনর বলছে, নিয়ম ভেঙে করা স্পন্সরশিপ চুক্তিগুলোর ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের কোনো প্রমাণ নিরীক্ষকরা পাননি।
যে ১১টি চুক্তিতে অনিয়ম হয়েছে, সেসব স্পন্সরশিপের আর্থিক পরিমাণও টেলিনর প্রকাশ করেনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ওই স্পন্সরশিপগুলোতে তহবিল বরাদ্দের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। ওই বরাদ্দ দেওয়াই তাদের উচিৎ হয়নি।”
নিরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা টেলিনরের সিইও সিগভে ব্রেক্কে এবং পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান গুন ভ্রেস্টেডকে জানানো হয়েছে এবং নিয়ম ভেঙে করা স্পন্সরশিপ চুক্তিগুলো তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এসব অনিয়মের আইনি দিকগুলোও আলাদাভাবে খতিয়ে দেখছে টেলিনর।
এদিকে গ্রামীণ ফোন এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমাদের নিয়মিত অভ্যন্তরীণ অডিটে দেখা গেছে যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্পন্সরশিপ অনুমোদন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে মানা হয়নি এবং তা গ্রামীণফোন ও টেলিনরের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো সম্পূর্ণভাবে সমাধান করেছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া পদক্ষেপগুলো আমাদের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে এবং গ্রামীণফোনের নীতিমালা আরও কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করবে বলে আমরা আস্থাশীল।”