আকাশে যুদ্ধের জন্যে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্রুত এগিয়ে চলেছে চীন। আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য অত্যন্ত দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে আমেরিকার শক্তিশালী বিমান বহর কার্যত অচল হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে চীন ও আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা এক নাগাড়ে বেড়েই চলেছিল। তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর তা আরও তুঙ্গে ওঠে। কয়েক দশকের মার্কিন প্রথা ভেঙে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপ করে এই উত্তেজনাকে তুঙ্গে নিয়ে যান ট্রাম্প।
আইএইচএস জেন্স এবং চিনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত আলোকচিত্রে দেখা গেছে, দেশটির জে-১১ এবং জে-১৬ যুদ্ধবিমান একটি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করছে। কিন্তু এখনো এর নামকরণ করা হয়নি। তবে চীনা বিমান গবেষক ফু কিয়ানশাও দেশটির সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, এর পাল্লা ২৫০ মাইল বা ৪০২ কিলোমিটার।
বর্তমানে আকাশযুদ্ধের উপযোগী চীন এবং আমেরিকার যেসব ক্ষেপণাস্ত্র আছে তার চেয়ে এর পাল্লা কয়েকগুণ বেশি। ফু কিয়ানশাও বলেছেন, এতে আড়াল থেকে শত্রুর ‘চোখে’ আঘাত করতে পারবে চীনা যুদ্ধবিমান। এখানে ‘চোখ’ বলতে মার্কিন উড়ন্ত রাডার ব্যবস্থা সংবলিত আওয়াক্স বিমানের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। আওয়াক্সের সহায়তায় শত্রু বিমানের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে পারে মার্কিন বিমান বাহিনী। এই ‘চোখ’ অচল হয়ে গেলে মার্কিন বিমান বাহিনী কঠিন অসুবিধায় পড়বে।
এছাড়া, আকাশে জ্বালানি ভরার কাজে ব্যবহৃত ট্যাংকার বিমানও এই ক্ষেপণাস্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। এসব বিমান আকাশে জ্বালানি সহায়তা দিতে না পারলে অত্যাধুনিক বিমান এফ-৩৫সহ অন্যান্য বিমান দূরপাল্লার পথ পাড়ি দিতে পারবে না। ফলে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা হারাবে এসব অত্যাধুনিক বিমান। সব মিলিয়ে মার্কিন যুদ্ধবিমানের জন্য আকাশ-সহায়তা অকার্যকর করে তুলতে পারবে চীনের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র। এতে গোটা মার্কিন বিমান বাহিনীই কার্যত অচল হয়ে পড়ার আশঙ্কায় পড়েছে।