পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী শিশুদের মায়ের ভাষায় শিক্ষা দানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার মাতৃভাষায় পাঠ দান কার্যক্রম শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, তিনি বলেন, সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়েও কাজ করছেন।
গতকাল ২ জানুয়ারী সোমবার রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় বন্দুক ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্য বই তুলে দেয়ার প্রাক্কালে তিনি এ কথা বলেন।
বন্দুক ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি চন্দ্র কুমার চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অভয় প্রকাশ চাকমা, জেলা পরিষদ সদস্য অমিত চাকমা রাজু, পরিষদ সদস্য সাধন কুমার চাকমা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হৃদয় রঞ্জন চাকমা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা সজল চাকমা চম্পা, বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নে পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মানিক্য কিশোর চাকমা, শিক্ষক তরুন বিকাশ চাকমা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন্দুক ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অতন চাকমা।
দীপংকর তালুকদার বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের মুল বাধা হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র। অবৈধ অস্ত্র যতদিন পর্যন্ত পার্বত্য অঞ্চল থেকে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হবে না অথবা অবৈধ অস্ত্র ছেড়ে সাধারণ জীবনে ফিরে আসবে না ততদিন পর্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করছে কিন্তু অবৈধ অস্ত্রের কারণে উন্নয়ন বাধা গ্রস্থ হচ্ছে। আমরা স্কুল করতে চাইলে সেখানে বাধা, কলেজ করতে চাইলে সেখানে বাধা, রাস্তা করতে চাইলে সেখানে বাধা। তিনি বলেন, আমরা স্কুল করছি সেখানে চাঁদা দাবী করছে, এলাকার জনগনের খাবার পানির জন্য টিউবওয়েল বসানো হবে সেখানেও চাঁদা দাবী করছে, জনগন চলাচলের জন্য রাস্তা করে দিচ্ছে সেখান থেকেও তাদেরকে চাঁদা দিতে হবে। তাদেরকে যদি এভাবে চাঁদা দিতে হয় তাহলে আমরা কিভাবে উন্নয়ন করবো।
তিনি বলেন, অস্ত্রের মুখে জনগনের ভোটাধিকার খর্ব করে ভোট নিয়েছেন তাতেই আপনাদের কাজ শেষ হয়ে গেছে। জনগনের জন্য কিছু কাজ করুন। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ পাচ্ছে বরাদ্দ গুলো কি করছেন। জনগনের কল্যানেতো কোন কাজ করছেন না।
তিনি বলেন, আমি এমপিও না মন্ত্রী ও না আমি জনগনের বন্ধু তাই জনগনের কাছে বারবার ফিরে আসি। জনগন কাতারে থেকে আমার জীবনাসন হোক সেটাই আমি চাই। তিনি বলেন, আমি জানি আপনারা আমাকে কতো ভলো বাসেন । আজকে হয়তো এই মিটিং আসার কারণে আপনাদের উপর খর্গ নেমে আসতে পারে। তাই আমি আমার বন্ধুদের বলতে চায় আজকে এই সভায় যে কথা গুলো আমি বলেছি সে গুলো শুধুমাত্র আমার কথা আপনারা এই নিরীহ জনগনে উপর কোন অত্যাচার চালাবেন না।
পরে প্রধান অতিথি ছাত্র ছাত্রীদের হাতে বই তুলে দেন।