করাচিতে দেখা গেছে চীনের নিউক্লিয়ার সাবমেরিন। গত বছরের মে মাসের ঘটনা। কূটনীতিবিদদের বক্তব্য, ভারতকে চাপে রাখতেই এই কৌশল বেইজিংয়ের। এমনিতেই চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক বর্তমানে বেশ ভালো। এদিকে ভারতীয় মহলে প্রশ্ন উঠছে, আন্তর্জাতিক পানিসীমা অতিক্রম করে করাচিতে যাওয়ার সময় ভারতীয় নৌ–বাহিনীর চোখ এড়িয়ে গেল কী করে। পরমাণু শক্তিসম্পন্ন সাবমেরিনগুলো দীর্ঘদিন পানির তলায় থাকতে পারে। ফলে উপস্থিতি টের পাওয়া বেশ কঠিন।
গুগল আর্থ যে ছবিটি প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে চীনের নৌ–বাহিনীর ০৯১ ‘হান’ সাবমেরিনটি করাচি বন্দরে রয়েছে। আসল কথা হল ‘হান’ চীনের সবচেয়ে অত্যাধুনিক সাবমেরিন। ভারতীয় নৌ–বাহিনীর পক্ষ থেকে অবশ্য স্বীকার করে নেয়া হয়েছে, ২০০৬ সালে সাং নামক চীনের যে সাবমেরিনটি যাত্রা শুরু করেছিল, করাচি বন্দরে দেখতে পাওয়া সাবমেরিনটি আরো অত্যাধুনিক।
গত মাসেই ভারতীয় নৌ–বাহিনীর প্রধান সুনীল লানবা বলেছেন, ‘বিদেশি সাবমেরিনের যাত্রাপথের দিকে আমরা ক্রমাগত নজর রেখে চলেছি। গতিবিধি জানার জন্য জাহাজ ও উড়োজাহাজের সাহায্যও নেয়া হচ্ছে নিয়মিত। পরমাণু শক্তিসম্পন্ন সাবমেরিনের ব্যবহার বিশ্বে বড় একটা দেখা যায় না।
ভারতীয় নৌ–বাহিনী আরো জানিয়েছে, আমেরিকায় তৈরি হওয়া ‘পিএইট ওয়ান’ সাবমেরিনটিকে খুব শিগগিরই ভারত মহাসাগরে দেখতে পাওয়া যাবে। যার সাহায্যে ভারত মহাসাগরে আনাগোনা করা বিদেশি সাবমেরিনের চিহ্নিতকরণ আরো সহজ হয়ে যাবে। একবার চিহ্নিত হয়ে গেলে বিদেশি সাবমেরিনের কার্যক্ষমতা নষ্ট করতে সক্ষম ‘পিএইট ওয়ান’।