বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের আলোচনা সভায় বক্তারা
পার্বত্য অঞ্চলের সকল জনগনের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়াতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদেরকে আহবান জানিয়েছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, ঘরে বসে নির্বাচন করার ইচ্ছা থাকলে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। শুধুমাত্র আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে যদি নির্বাচনে জয় লাভ করা যেতো তাহলে আর কোন কথায় ছিলো না। তিনি বলেন, নির্বাচনে জয় লাভ করতে হলে পার্বত্য অঞ্চলের সকল জনগনকে সাথে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানান।
গতকাল রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন উপলক্ষে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও জাতীয় সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পষিদের সদস্য হাজী মুছা মাতব্বর, যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, দপ্তর সম্পাদক রফিক আহম্মেদ তালুকদার সহ অন্যান্য আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
দীপংকর তালুকদার বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্টের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু দেশদ্রোহীদের চক্রান্ত এখনও চলছে, দেশকে জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। সে ব্যাপারে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। দেশদ্রোহীদের নির্মূল না করা পর্যন্ত আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য ২৯৯ নং আসনে জয় লাভ করতে হলে ঘরে বসে কোন ভাবেই সম্ভব নয়। নেতাকর্মীরা তারা নিজেরা নিজেদেরকে নিয়েই ব্যস্ত আছে। তাদের সাথে সাধারণ জনগনের সম্পর্ক কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জনগনের সাথে সম্পর্ক না থাকলে কেউ আমাদেরকে ভোট দিবে না। তাই আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মীদের তৃণমুল পর্যায়ে গিয়ে কাজ করতে হবে। জনগনের সাথে সম্পর্ক বাড়লে আগামী নির্বাচনে আমাদের কেউ হারাতে পারবে না।
এছাড়া সভায় বক্তারা বলেন, হাজার বছর ধরে যুগে যুগে শ্রেষ্ঠ বাঙালীর জন্ম হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্ম যুগের বিবর্তনে একবার হয়েছে। যার জন্ম হয়েছে শুধু বাঙালীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। বাঙালীর মুক্তির নাম শেখ মুজিব। যার আত্মত্যাগ ও সুকৌশল ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে হাজার বছরের গোলামীর ছায়া দূর হয় বাঙালীর ইতিহাস থেকে।