বান্দরবানঃ-বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অফিস সহায়ককে পেটালেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু আহম্মদ। রোববার (২৯ জানুয়ারী) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক (পিয়ন) মো. মাহমুদুল হাসানকে (২৪) কাজকর্ম না করার অজুহাতে চর থাপ্পর মারেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু আহম্মদ। মারধরের পর গলা ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও গত বছরের ২২ ডিসেম্বরও টয়লেট পরিষ্কার না করার অজুহাতে অফিস সহায়ককে মারধর করেছিলেন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা।
অপরদিকে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় অফিস সহায়ককে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ২০১৩ সাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়িতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত আবু আহম্মদ।
এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে কর্মস্থলে না থাকা এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ গ্রহণসহ একাধিক অভিযোগও রয়েছে।
অফিস সহায়ক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘শিক্ষা সপ্তাহ অনুষ্ঠানের কাজ করার সময় স্যার ডাক দিয়ে জানতে চান কী করতেছো। আমি বললাম, স্যার চিঠি দিচ্ছি। তখন স্যার বলেন কুত্তার বাচ্চা চিঠি রাখ, ব্যানার লাগা বলে আমায় চর থাপ্পর মারেন। আর গলা ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন। এর আগেও টয়লেট পরিষ্কার নিয়ে ডিসেম্বর মাসে আমায় থাপ্পর মেরেছিলেন স্যার। ঘটনাটি আমি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের জানিয়েছি।’
এদিকে অফিস সহায়ককে মারধরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের নেতারা। তারা বিষয়টি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অবহিত করা হয়েছে বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আবুল কালাম বলেন, সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালায় উল্লেখ আছে, কর্মচারীর কোনো আচরণে অসন্তোষজনক হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। তবে লিখিতভাবে কর্মচারীকে জানাতে হবে এবং তাকে তার সপক্ষে মতামত দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু কোথাও লেখা নেই কর্মচারীকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে পারবেন। আমরা লিখিতভাবে ইউএনওকে বিষয়টি সোমবার জানাব। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করব। তবে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু আহম্মদ জানান, অফিস সহায়ক ঠিকমতো কাজকর্ম করে না। সে জন্য অফিসের প্রধান হিসেবে আমি বকাবকি করেছি। তবে মারধর করিনি। এ ধরনের কোনো ঘটনায় ঘটেনি।