রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, সুন্দরবন-বিনাশী সব চুক্তি বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে চলা জাতীয় কমিটি হরতালের পিকেটিং চলাকালে হরতাল সমর্থকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ হরতাল সমর্থককারীদের প্রতি টিয়ার গ্যাস জলকামান ছোড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালালে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর হরতাল সমর্থকরা শাহবাগে অবস্থান করলে দফায় দফায় তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস জলকামান নিক্ষেপ করা হয়। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটে তাদের ওপর থেমে থেমে টিয়ার গ্যাস জলকামান নিক্ষেপ চলছিলো।
হরতালেকারীদের অভিযোগ ভোর থেকে পিকের্টিং শুরু হলে একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়। হরতাল সমর্থকদের ওপর দফায় দফায় টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। হরতালের পক্ষে মিছিল করার চেষ্টা করা হলে পুলিশ তা ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়।
রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ সুন্দরবনবিনাশী সব চুক্তি বাতিল ও বিদ্যুৎ গ্যাস সমস্যা সমাধানে সাত দফা বাস্তবায়নের দাবিতে তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎবন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আজ ঢাকা মহানগরীতে অর্ধদিবস হরতাল (৬টা-২টা) আহ্বান করে। এর পাশাপাশি দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচিও দেয়া হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, সুন্দরবনবিনাশী রামপাল কয়লা প্রকল্প বাতিলসহ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সমস্যা সমাধানের জন্য সাত দফা বাস্তবায়নে সাত বছর ধরে আমরা লংমার্চ, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, মহাসমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছি। কিন্তু সরকার এই প্রকল্প বাতিল না করে উল্টো সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে হরতাল পালনের কর্মসূচি দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই হরতাল জ্বালাও-পোড়াও নয়, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের। বিবৃতিতে ঢাকা মহানগরীর সব প্রতিষ্ঠান, যান্ত্রিক পরিবহন ও ব্যক্তিগত কাজ আজ বেলা ২টা পর্যন্ত বন্ধ রেখে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করে সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনে শরিক হতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।