রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে কফি আনান কমিশন বাংলাদেশ আসছে

রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে সীমান্ত পেরিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিন দেখতে কফি আনান কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা আসছে। এ ছাড়া মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার ইয়াংহি লি একই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসবেন।
রাখাইন রাজ্যের সঙ্কট নিরসনে মিয়ানমার সরকারকে পরামর্শ দিতে রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চির উদ্যোগে কফি আনান কমিশন গঠন করা হয়। জাতিসঙ্ঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ৯ সদস্যের এই কমিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কমিশন ইতোমধ্যে দুই দফায় রাখাইন রাজ্যে গিয়েছে। সঙ্কট নিরসনে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেয়ার আগে কমিশনের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ আসছে। ম্যান্ডেট অনুযায়ী চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে মিয়ানমার সরকারের কাছে কমিশন চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে।
প্রতিনিধি দলে মিয়ানমার দুই নাগরিক উইন ম্রা ও আই লুইন এবং লেবানিজ নাগরিক ঘাসান সালামে রয়েছেন। তারা আগামী ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি কক্সবাজার পরিদর্শন করবেন এবং ৩১ জানুয়ারি ঢাকায় সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন।
এ ছাড়া আগামী মাসে জাতিসঙ্ঘের স্পেশাল র‌্যাপার্টিয়ার ইয়াংহি লি বাংলাদেশে আসবেন। রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিন দেখতে তিনি কক্সবাজার যাবেন। লি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, কূটনীতিক ও এনজিওদের সাথে মতবিনিময় করতে পারেন।
মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ইয়াংহি লি গত ৯ থেকে ২১ জানুয়ারি মিয়ানমার সফর করেন। এ সময় তিনি রাখাইন ও কোচিন রাজ্য পরিদর্শন এবং সু চিসহ মিয়ানমারের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেন। এরপর জেনেভা থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মিয়ানমারে যা হচ্ছে তা এক কথায় প্রতিহিংসামূলক। সেখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী পরিকল্পিত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বৈষম্যের শিকার। বিগত জাতীয় নির্বাচন মিয়ানমারের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আকাক্সক্ষার জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যে সেই প্রত্যাশা ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
চলতি মাসে জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল ১২ দিন বাংলাদেশ সফর করেছে এবং রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করেছে। জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস গতকাল পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের সাথে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন।

মুক্ত গণমাধ্যম চাই : সকল গণমাধ্যমে এক নীতিমালা, তথাকথিত ওয়েজ বোর্ড বাতিল, নিজস্ব বেতন বোর্ড, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র নীতিমালা নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য কমানো ও মফস্বলের পত্রিকাগুলো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে টিকিয়ে রাখতে হবে

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031