দু’বছর আগে ছবি তোলার সময় সিরিয়া থেকে আসা শরণার্থীদের ল্যাং মারার অভিযোগ উঠেছিল পেত্রা লাসজলো নামে হাঙ্গেরির এক নারী চিত্রগ্রাহকের বিরুদ্ধে। একটি ভিডিওতে ধরা পড়ে সেই ছবি। যা দেখে ওই চিত্রগ্রাহকের সমালোচনায় মুখর হয়েছিল গোটা বিশ্ব। শুক্রবার ওই ঘটনার জন্য তাকে তিন বছরের জন্য জেলের সাজা দিল সেজে্গড ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সার্বিয়া–হাঙ্গেরি সীমান্তের নিকটবর্তী রোসজকে শহরের একটি আশ্রয় শিবির থেকে পালাতে শুরু করে ৪০০–রও বেশি শরণার্থী। ওই সময় সে স্থানেই ছিলেন পেত্রা। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পালানোর সময় বেশ কয়েকজন শরণার্থীকে ল্যাং মারেন তিনি। এমনকী ফেলে দেন ওসামা আবদুল মহসিন নামে সিরিয়ার এক ব্যক্তিকে। ওই সময় আবদুলের কোলে ছিল তার সাত বছরের ছেলে জায়িদ।
ভিডিওটি দেখার পরেই গোটা বিশ্বের মানুষ নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকেই এটিকে ‘অমানবিক’ আখ্যা দেয়। এদিনের রায়ে কোর্টও এই ঘটনাটিকে ‘অমানবিক’ বলে জানায়।
ঘটনাটি সামনে আসার পরেই হাঙ্গেরির এন১টিভি চ্যানেল থেকে ওই চিত্রগ্রাহককে বহিস্কার করা হয়। পরে এক সাক্ষাৎকারে অবশ্য দুঃখপ্রকাশ করেন পেত্রা। বলেন, ‘গোটা ঘটনাটির জন্য আমি খুবই দুঃখিত। বিশেষ করে একজন মা হয়ে একটি শিশুর সঙ্গে এটা করা উচিত হয়নি। পরে ভিডিওটি দেখে আমার নিজেরই খারাপ লেগেছে।’
সিরিয়ার একটি ফুটবল দলের কোচ মহসিন অবশ্য পরে পেত্রাকে ক্ষমা করে দেন। বলেন, ‘আমরা আগের দিনই ওই শিবিরে এসেছিলাম। ওই দিন আমরা সামনের একটি গ্রামে যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে।’
বর্তমানে তিনি স্পেনের একটি ফুটবল অ্যাকাডেমিতে কোচিং করাচ্ছেন। কয়েকদিন আগে তার ছেলে জায়িদকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর হাত ধরে রিয়াল মাদ্রিদের খেলার সময় মাঠে নামতেও দেখা যায়।