রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করেছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও প্রস্তাবের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সম্ভব হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো আমার সাথে আলোচনাকালে সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে অনেকগুলো সুচিন্তিত প্রস্তাব ও মতামত দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তাদের মতামত ও প্রস্তাবের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর ইসি গঠন সম্ভব হবে।
তিনি আজ বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (বিআইএফ), জাকের পার্টি (জেডপি) ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনাকালে এ মন্তব্য করেন। এই রাজনৈতিক দলগুলো আজ বঙ্গভবনে পৃথকভাবে রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের একথা জানান।
রাষ্ট্রপতি দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনাকালে সার্চ কমিটি ও ইসি গঠন বিষয়ে বিআইএফ ৬ দফা, বিএমএল ৪ দফা এবং জেডপি ৮ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
দলীয় মহাসচিব এমএ মতিনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের বিআইএফ প্রতিনিধি দল ইসির জন্য একটি পৃথক সচিবালয় গঠনের প্রস্তাব করেছে। বিআইএফ নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ইসিই কেবল দেশে অবাধ নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারে।
বিএমএল রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত ও স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম লোকদের নিয়ে একটি নতুন ইসি গঠনের প্রস্তাব করেছে। তারা এই ইসিতে একজন নারী প্রতিনিধি রাখারও প্রস্তাব করে।
জেডপি তাদের ৮ দফা প্রস্তাবে ইসি গঠনের জন্য সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠনের কথা বলেছে। তারাও নতুন ইসিতে একজন নারী প্রতিনিধি রাখার প্রস্তাব করেছে।
আলোচনাকালে রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বিএনপি’র সাথে আলোচনার মধ্যদিয়ে নতুন ইসি গঠন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাঁর আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেন।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন ইসির মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এই সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।