ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের অংশ হিসেবে ১৮ জানুয়ারী বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নানের নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নেন-আল্লামা এম এ মতিন, গাজী এম এ ওয়াহিদ সাবুরী, আল্লামা আবু সুফিয়ান আবেদী, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী হারুন, মাওলানা হারুনুর রশিদ রেজভী, স উ ম আবদুস সামাদ, অধ্যাপক এম এ মোমেন, মোজাফফর আহমদ, মুহাম্মদ আবদুল মতিন। ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে ৬ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ বলেন- একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ স্বাধীনভাবে মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ পায়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই নির্বাচন হল জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশ করার প্রধান মাধ্যম। বাংলাদেশের জনগণ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের সংবিধান স্বীকৃত ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জাতির ভবিষ্যত কর্ণধার নির্বাচিত করতে চায়। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের এই মৌলিক অধিকার সুরক্ষার জন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে এই নির্বাচন কমিশনের মেয়াদকাল। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে সংশয় ও পারস্পরিক আস্থাহীনতা দূর করতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করে নিম্নোক্ত প্রস্তাবনা পেশ করেন।
১. তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা নির্বাচনকালীন সরকার নয় বরং স্বাধীন, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সক্ষম।
২. নির্বাচন কমিশনকে অধিকতর কার্যকর, স্বাধীন ও শক্তিশালী করার জন্য নির্বাচনকালীন সময়ে সাংবিধানিকভাবে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপর ইসির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৩. মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, যোগ্য, অভিজ্ঞ, মেধাবী, সৎ ও দল নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের বাছাই করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
৪. মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন, বাছাইয়ের দায়িত্ব পালন করে জাতিকে একটি গ্রহণযোগ্য ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন উপহার দিবে।
৫. বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জন্য আলাদা সচিবালয় গঠন করতে হবে এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে আর্থিক স্বাধীনতা প্রদান করতে হবে।
৬. নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের চাকরীবিধির উপর ইসির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।