কক্সবাজারে গ্রেপ্তার দুই রোহিঙ্গাকে নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ১০টি অস্ত্র, ১৮৯ রাউন্ড গুলি, ২৬ রাউন্ড কার্তুজ সহ আরও একজন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার ভোর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রুর গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে মাটির নিচ থেকে এসব অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলির মধ্যে গত ২০১৬ সালের ১৩ মে টেকনাফ নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরে আনসার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলির মধ্যে ৫টি অস্ত্র ও ১৮৯ রাউন্ড গুলি রয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং এলাকা থেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী খাইরুল আমিন ও মাস্টার আবুল কালাম আজাদকে একটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান সহ গ্রেফতার করে র্যাব। তাদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ হাসান নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে র্যাব।এদিকে দুপুর ১টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রুর গহিন পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ ও আনসারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মিজানুর রহমান খান। র্যাব সদস্যরা পাহাড়ের গর্তে লুকিয়ে রাখা আনসার ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি দেখান সাংবাদিকদের।এসময় র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের স্বীকারোক্তিমতে সোমবার রাত থেকে র্যাব সদস্যরা বান্দরবারের নাইক্ষ্যংছড়ির গহিন পাহাড়ে অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে ১০টি অস্ত্র, ১৮৯ রাউন্ড গুলি ও ২৬ রাউন্ড দেশি বন্দুকের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। তারমধ্যে টেকনাফে লুট হওয়া ৫টি অস্ত্র ও ১৮৯ রাউন্ড গুলি রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, টেকনাফে আনসার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে লুট হওয়া বাকি অস্ত্রগুলোও এখানে রয়েছে ধারণা করা হচ্ছে। তাই আগামী দুই/তিন দিন এখানে অভিযান চলবে। আশা করি, বাকি অস্ত্রগুলোও পাওয়া যাবে।আনসারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, নাইক্ষ্যংছড়িতে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে আনসার ক্যাম্পের ৫টি অস্ত্র ও ১৮৯ রাউন্ড গুলি পাওয়া রয়েছে। অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করায় র্যাবকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আনসারের এ মহাপরিচালক।
২০১৬ সালের ১৩ মে ভোরের দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার মুচনী এলাকায় আনসার ক্যাম্পে হামলায় গুলিতে মারা যান কমান্ডার আলী হোসেন (৫৫)। লুট হয় আনসার সদস্যদের ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৯০ রাউন্ড গুলি