জীবনের তিন ভাগের এক ভাগ সময়ই আমরা ঘুমিয়ে কাটাই। সাধারণত আমাদের শরীর-স্বাস্থ্য, মন, মুড সবই নির্ভর করে একটা সুন্দর ঘুমের ওপর। কিন্তু ঘুমোবেন কীভাবে? কোন ভঙ্গি ঠিক, আর কোনটাই বা ভুল? শোয়ার ভুলের কারণেই অনেক সময় রাতের ঘুম হারাম হয়। তখন সকালে উঠে কোন কাজে একদম মন বসে না। আবার মেজাজও খারাপ থাকে। এখানেই শেষ নয়, শোয়ার ভুলের কারণে আমরা ঘাড় ও পিঠের ব্যথায়ও ভুগে থাকি। তবে এসব সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হলো- সঠিক ভঙ্গিতে ঘুমানো। গবেষকরা বলেছেন, সঠিক ভঙ্গিতে ঘুমালে মাথা, ঘাড় ও মেরুদণ্ড ঠিক থাকে।
এবার জেনে নিন ঘুমানোর কিছু ভঙ্গি-
ফোয়েটাস- পাশ ফিরে, হাঁটু ভাঁজ করে প্রায় বুকের কাছে। বালিশ আঁকড়ে।
লগ- পাশ ফিরে পা সোজা। হাত নিচে।
ইয়ার্নার- পাশ ফিরে পা সোজা। হাত ছড়ানো।
সোলজার- চিত হয়ে, পা সোজা। হাত দুপাশে।
ফ্রিফলার- উপুড় হয়ে, পা ছড়ানো। বালিশের ওপর হাত।
স্টারফিশ- চিত হয়ে, হাত-পা ছড়ানো।
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিনের গবেষকরা বলছেন, স্টারফিশ ও সোলজার ভঙ্গিই সেরা। এভাবে ঘুমালে মাথা, ঘাড়, মেরুদণ্ড ঠিক থাকে। সহজে ব্যথা হয় না। আবার এই দুই ভঙ্গিতে মুখের চামড়াও সহজে কুঁচকে যায় না। ত্বক থাকে মসৃণ।
গবেষকরা বলেন, চিত হয়ে শুলে অ্যাসিডিটি হওয়ার সম্ভাবনা কমে। তবে নাক ডাকার একটা প্রবণতা থাকে।
লগ ও ইয়ার্নার ভঙ্গিতেও শোওয়া যেতে পারে। যাদের স্লিপ অ্যাপনিয়া রয়েছে, নাক ডাকার প্রবণতা রয়েছে, পিঠ ও ঘাড়ে ব্যথা হয় এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের এই ভঙ্গিতে শোওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। তবে, এই ভঙ্গিতে সহজেই কুঁচকে যায় চামড়া।
গবেষকরা বলেন, ফ্রিফলার ভঙ্গি বিপজ্জনক। উপুড় হয়ে শুলে সবচেয়ে বেশি বিপদ। অস্থিসন্ধি ও পেশির ওপর চাপ পড়ে। শরীরে ব্যথা বাড়ে, অসাড় হয়ে যেতে পারে শরীর। স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে। তবে এই ভঙ্গিতে শুলে নাক ডাকে না।
ফোয়েটাস ভঙ্গিতে শুলে আরাম হয় ঠিকই, কিন্তু বিপদ আছে। ঘাড় ও পিঠে ব্যথা অনিবার্য। গবেষকরা বলছেন, এই ভঙ্গিতে শুলে মহিলাদের বক্ষসৌন্দর্য নষ্ট হতে পারে। সূত্র: জিনিউজ।