আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির আনুষ্ঠানিক সমালোচনা করতে যাচ্ছেন, এমনকি এর একটি খসড়াও তৈরি হয়ে গেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সে খসড়ায় লেখা রয়েছে, অভিবাসনের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করাটা অমার্কিনসুলভ, এটা করে যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ করা যাবে না।
গত শুক্রবার সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প।
কূটনীতিকদের এই প্রতিবাদ করার উদ্যোগকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সন স্পাইসার বলেছেন, ‘আপনাদের এটা নিয়ে সমস্যা? আপনারা হয় এই কর্মসূচী মেনে নিন নইলে আপনারা বিদায় নিতে পারেন।’
এদিকে ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল স্যালি ইয়েটস বলেছেন, তার অফিস আদালতে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির পক্ষ হয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে না। ইয়েটস সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নিয়োগ করা একজন কর্মকর্তা।
এর পরই স্যালি ইয়েটসকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ও বিচার বিভাগ থেকে প্রতিবাদের এই খবর এমন সময় এলো যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন নীতি নিয়ে সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় বইছে।
ব্রিটেনের বেশ কয়েকটি শহরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এরকম প্রেক্ষাপটে রেওয়াজ ভেঙ্গে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বারাক ওবামা।
রেওয়াজ অনুযায়ী কোন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার উত্তরসূরিদের কর্মকাণ্ড নিয়ে কখনো মন্তব্য করেন না।
ওবামা অবশ্য হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করার আগে বলেছিলেন, তিনি যদি মনে করেন ট্রাম্প আমেরিকানদের মূল মূল্যবোধের উপর হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, তাহলে হয়তো তিনি এটা নিয়ে কথা বলবেন।
তার মুখপাত্র কেভিন লুইস বলেছেন, সাবেক নেতা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন বিষয়ক নীতির সাথে একমত পোষণ করেন না।