যুক্তরাষ্ট্রে সাত মুসলিম দেশের নাগরিক প্রবেশে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে সিয়াটল ফেডারেল আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ তথাকথিত বিচার এবং হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বিচারক জেমস রবার্টকে আইন প্রয়োগ নয়, হরণকারী বলেও মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। এছাড়া রায়কে অসাংবিধানিক বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত এ প্রেসিডেন্ট ।
হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র শেন স্পাইসার দাবি করেছেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার বিভাগ ওই স্থগিতাদেশ রদ করতে পদক্ষেপ নেবে।’
তিনি বলেন, মার্কিন ভূখণ্ড নিরাপদ রাখতেই প্রেসিডেন্ট ওই আদেশ দিয়েছেন। সেই সাথে মার্কিন জনগণকে রক্ষার সাংবিধানিক কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব প্রেসিডেন্টের রয়েছে।
টুইট বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, ‘এটা তথাকথিত একজন বিচারপতির মতামত…এটা হাস্যকর এবং এই আদেশ উল্টে যাবে।’
এর আগে, মুসলিম-প্রধান সাতটি দেশ থেকে নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী, অভিবাসী ও ভ্রমণকারী প্রবেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা নিষেধাজ্ঞা দেশজুড়ে সাময়িকভাবে স্থগিত করেন সিয়াটলের ফেডারেল বিচারক জেমস রবার্ট।
গত ২৭ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা ওই আদেশে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ তৈরি হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের তথ্য অনুসারে বিবিসি জানায়, এ পর্যন্ত ৬০ হাজার ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
যে সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে, সিরিয়া, ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান আর ইয়েমেন। ট্রাম্পের ওই আদেশের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্য প্রথম মামলা করে। পরে মিনেসোটা রাজ্য তাদের সাথে যোগ দেয়।
ওয়াশিংটনের রাজ্য অ্যাটর্নি জেনারেল বব ফারগুসন বলেছেন, ট্রাম্পের আদেশটি অবৈধ ও অসাংবিধানিক। কেননা মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে কেন্দ্র করে এটি বিভেদ তৈরি করছে।