তিন পার্বত্য জেলার ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফের প্রকল্পের সহায়তায় স্থাপিত ২১০টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় করণ করেছে সরকার। গত কাল (সোমবার) প্রাথমি ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় শাখা-১ এর উপ-সচিব মুহম্মদ হিরুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয় অধিগ্রহন আইন ১৯৭৪ এর ৩ (১) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের আওয়াতায় তিনটি শর্তে আদেশ জারীর সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনায়ন করা হয়েছে। শর্তে মধ্যে (ক) অধিগ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয় সমূহ জমি, গৃহ, নগদ তহবিলসহ যাবতীয় সম্পদ সরকারে অনুকুলে হস্তান্তরিত ও ন্যস্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। (খ) বিদ্যালয় সমূহের বর্তমান পরিচালনা কমিটি বিলুপ্ত হইবে এবং তদস্থলে বিধি মোতাবেক নতুন পরিচালনা গঠন করিতে হইবে। (গ) বিদ্যালয়সমূহের তথ্যাদি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক/শিক্ষিকার পদ সৃষ্টি করা হইবে। পদ সৃষ্টির আনুষ্ঠানিকতা শেষে শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ বিধি মোতাবেক সরকারীকরণ করা হইবে।
২০০৯ সালে তিন পার্বত্য জেলার ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফের মৌলিক শিক্ষা সহায়তা প্রকল্পের বান্দরবান জেলার ৮০টি, রাঙ্গামাটি জেলার-৮১টি এবং খাগড়াছড়ি জেলার ৪৯টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। এ সব বিদ্যালয়ে প্রকল্পের আওয়াতায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে ১ জন করে শিক্ষক সহায়তা দিলেও পাড়াবাসীর অর্থায়নে ৩ জন শিক্ষক পদায়ন করা হয়।
জুরাছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আশিষ কুমার ধর জানান সংশ্লিষ্ট্য বিদ্যালয় গুলো জাতীয় করণের বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ওয়েভসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে তবে এখনো আমাদের হতে চিঠি পায়নি।
উল্লেখ্য তিন পার্বত্য জেলার ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফের মৌলিক শিক্ষা সহায়তায় প্রকল্পের আওয়াতায় পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর মৌলিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে ২০০৯ সালে তিন পার্বত্য জেলায় ২১০টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।