যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন সহযোগী কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে শনিবার দক্ষিণ চীন সাগরে ‘নিয়মিত টহল’ শুরু করেছে।
দ. চীন সাগরে বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের এমন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে গত বুধবার চীনা মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি করার তিনদিনের মধ্যেই ওই সাগরে নৌবহর মোতায়েন করল ওয়াশিংটন।
দক্ষিণ চীন সাগরের বেশ কয়েকটি বিরোধপূর্ণ জলাভূমি, ছোট দ্বীপ ও রিফের মালিকানা দাবি করে আসছে চীন। এছাড়া গত কয়েক বছর ধরে দ. চীন সাগরে একটি কৃত্রিম দ্বীপ ও সেখানে একটি বিমান ঘাঁটি করছে দেশটি।
দুই বছর আগে মালয়েশিয়ার নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সঙ্গে এক যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে দক্ষিণ চীন সাগরে গিয়েছিল ইউএসএস কার্ল ভিনসন। যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীতে ৩৫ বছরের সার্ভিসে ১৬ বার দক্ষিণ চীন সাগর ভ্রমণ করেছে বিমানবাহী এই রণতরী।
গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের কয়েকদিনের মধ্যে জানিয়ে দেন, দক্ষিণ চীন সাগর দখলে নেয়ার চীনা প্রচেষ্টায় বাধা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে বুধবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং শুয়াং বলেছেন, ‘চীনের সাবভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ করে এমন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আমরা আহবান জানাচ্ছি।’