বান্দরবানে পাহাড়ি ঝিড়ি ঝর্ণা থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন
৪ মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা
নিজস্ব সংবাদদাতা বান্দরবান
বান্দরবানে পাহাড়ি ঝিড়ি ঝর্ণা থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ এনে ৪ মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ রবিবার বান্দরবানের সিনিয়র সহকারী জজ মনিশা মহাজনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন লামা উপজেলার ফাঁসিয়া খালী এলাকার বাসিন্দা শিমুল জলাই ত্রিপুরা। এই মামলায় আদালত পাথর উত্তোলন বন্ধে কেন স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না মর্মে ১৫ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নির্দেশ দেয়। জজ আদালতের নাজির বেদারুল আলম জানান, বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়া খালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার পাহাড়ি ঝিড়ি ঝর্ণা থেকে একটি মহল অবাধে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করে যাচ্ছে। এর ফলে পানির উৎস যেমন হারিয়ে যাচ্ছে তেমনি পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পরছে। কিন্তু পাথর উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ হতে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না। অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে শিমুল জলাই ত্রিপুরা নামের এক ব্যক্তি সিনিয়ন সহকারী জজের আদালতে ৪ মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ ১২ জনকে আসামি করে আজ মামলাটি দায়ের করেন। মালার আসামিরা হচ্ছেন পার্বত্য মন্ত্রনালয়, খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়, ভ’মি মন্ত্রনালয় ও জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ের ৪ সচিব। এছাড়া চট্রগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক, বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্বা), লামা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী ভ’মি কমিশনার, লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এছাড়া ২ পাচারকারী লামা পৌরসভার বাসিন্দা প্রদীপ দাশ ও ছাগল খাইয়া এলাকার বাসিন্দা আলী হোসেন আসামির তালিকায় রয়েছেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এদের কারন দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।