বান্দরবানে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে প্রথম বারের মত বিশ্ববিদ্যালয়
স্বপ্ন বাস্তবায়ণ হবে অনেক শিক্ষার্থীর
॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন,বান্দরবান ॥ বান্দরবানে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে প্রথম বারেরমত বিশ্ববিদ্যালয়,স্বপ্ন বাস্তবায়ণ হবে অনেক শিক্ষার্থীর,আর এই লক্ষ্যে গতশুক্রবার রাতে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে । বান্দরবান শহরের ভেনাস রিসোর্টে এক সভায় বান্দরবান শিক্ষা ও উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয় । বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার সভাপতিত্বে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি। এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী র্কমর্কতা নুরুল আবছার ,পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী ,মন্ত্রীর একান্ত সচিব মহসিন চৌধুরী,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার ড.ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চনজয় তঞ্চঙ্গ্যা, সদস্য লক্ষীপদ দাস,সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সদস্য তিং তিং ম্যা মারমা, সদস্য ফাতেমা পারুল, সদস্য মোস্তফা জামালসহ বান্দরবানের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বান্দরবানের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন ধরণের রাজনীতি চলবেনা, রাজনীতি করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে করতে হবে। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে এই বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলে । দূর্গম এলাকার যোগ্য মেধাবী শিক্ষার্থীরা এখন নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে। অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা জানান, বান্দরবানের এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে এই এলাকার শিক্ষার মান অনেকটাই বেড়ে যাবে। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে এই ধরণের বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ফলে এখন আর মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেশ বিদেশ ছুটতে হবে না , জেলা শহরের অবস্থান করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে।
সুত্রে জানা যায়,আগামী সেশন থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরুর সব ধরণের প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে বান্দরবান সদরের প্যারাডাইজ ভবণে অস্থায়ীভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হবে,পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গভাবে সদর উপজেলার সুয়ালকে ভবন নির্মাণ স্বাপেক্ষে এর কার্যক্রম চলবে। সুত্রে আরো জানা যায়,ইতিমধ্যে বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের কাছে প্রায় ১শত একর জমির লীজ প্রদানের জন্য পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে চিঠি প্রদান করা হয়েছে । এদিকে বান্দরবান সদরের প্যারাডাইজ ভবণে অস্থায়ীভাবে তৈরি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরণের ক্লাস রুম তৈরিসহ যাবতীয় কাজ শুরু হয়ে গেছে। বান্দরবানে প্রধমবারের মত এই ধরণের বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, আমরা দীর্ঘদিনের ব্যার্থতা থেকে মুক্ত হচ্ছি। একসময় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য চট্টগ্রাম ও ঢাকা শহরের প্রচুর অর্থ ব্যায় করে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অনেক কষ্ট সাধন করতে হতো , আর এখন আমাদের শহরেই বিশ্ববিদ্যালয় এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের সংবাদ । আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ও পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা কে এমন মহতি উদ্যোগ গ্রহণ করায় ধন্যবাদ জানাই । পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা জানান, আমাদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু আমাদের জন্য সুখকর খবরই নয় , এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে এই বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলে। আমরা চাই দ্রুত এটি চালু হোক। বান্দরবানের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,বিশ্ববিদ্যালয় বান্দরবানে স্থাপন হবে , আর এখন থেকে অনেকটাই কষ্ট কমে যাবে শিক্ষার্থীদের,শিক্ষার্থীরা এখানে ভর্তি হয়ে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে।