পাকিস্তান সবসময়ই ভারতকে হুমকি মনে করে। আর এই শঙ্কা থেকেই তারা প্রতিনিয়ত নিজের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার বাড়িয়ে চলেছে। বাড়িয়ে চলেছে নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রের তালিকাও।
পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ- এই মর্মে আগামী শুক্রবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ হতে চলেছে। সেই রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতে একের পর এক জঙ্গি হামলার পিছনে রয়েছে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি সংগঠন। আর এদের সবরকম সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। আর এর পিছনে রয়েছে দুটি লক্ষ্য, এক কাশ্মীর ইস্যুকে সবার সামনে নিয়ে আসা, দুই ভারতে সবসময় অস্তিরতার পরিবেশ সৃষ্টি করে রাখা।
সেখানে সুপারিশ করা হয়েছে, ভারত ও আফগানিস্তানে ক্রমাগত সন্ত্রাস চালানোর জন্য ওয়াশিংটনের উচিত ইসলামাবাদকে ‘আর্থিক দায়’ পালনে বাধ্য করা।
একইসঙ্গে ১০টি মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্ক নিয়ে গঠিত ওই উচ্চপর্যায়ের কমিটির রিপোর্টে এ-ও সুপারিশ করা হয়েছে যে ট্রাম্প প্রশাসনের উচিত এমন নীতি প্রণয়ন করা, যাতে ‘পররাষ্ট্রনীতির অঙ্গ’ হিসেবে পাকিস্তান আর সন্ত্রাসকে হাতিয়ার না করতে পারে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তান নিজেদের ভূখণ্ডে গজিয়ে ওঠা বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠনকে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে চলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা জেনেও চুপ করে থেকেছে। এই প্রেক্ষাপটে ৯/১১ হামলা ও ২০০১-০২ সালে ভারত-পাকিস্তান সেনা অস্থিরতার পর পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর এই ‘মৌলবাদী কার্যকলাপ’ রোখার সুযোগ হাতছাড়া করেছে আমেরিকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করেও চাপ সৃষ্টি করা উচিত আমেরিকার।