ফটিকছড়িতে বিদ্যুতায়িত হয়ে আহত হয়ে দীর্ঘ দেড় মাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা গেলেন এক যুবক। বুধবার দুপুর দেড়টায় নিজ বাড়িতে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ওই যুবকের নাম মো. নুরুল ইসলাম(২৩)। তিনি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভাধীন ইমামনগর গ্রামের মীর বাড়ির মো. জেবল হোসেনের প্রথম পুত্র। নুরুল ইসলাম বাবুনগর বোর্ডস্কুল এলাকার মায়ের দোয়া নার্শারীর স্বত্ত¡াধিকারী। তিনি বিয়ে বাড়ির ষ্টেইজের সাজ -সজ্জার কাজ করতেন।
কলেজ পড়ুয়া তার ছোট ভাই আমির হোসেন জানায়, গত ২৫ ডিসেম্বের নুরুল ইসলাম লেলাং রায়পুর এলাকায় একটি বিয়ে বাড়ির সাজ সজ্জার কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিচে পড়ে যায়। এ সময় সে পেটে প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাজিরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসা প্রদান করা হয়। সেখানে প্রায় ১ মাস দশ দিন যাবৎ ভর্তি রেখে চিকিৎসা চলছিল তার। তার অবস্থার কোন পরিবর্তন না হলে গত শুক্রবার তাকে চিকিৎসকদের পরামর্শে এক সপ্তাহের জন্য নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে নিয়ে আসার পাঁচ দিনের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। সন্ধ্যায় বাবুনগর মাদ্রাসার মাঠে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে তার বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তার স্বজনদের আহাজারীতে সেখানকার আকাশ-বাতাশ ভারী হয়ে উঠেছে। তার অকাল মৃত্যু কোনভাবেই মানতে পারছে না তার আত্বীয় স্বজন কিংবা বন্ধু মহল।
নুরুল ইসলামের বন্ধু মো. ফিরোজ বলেন, সে ছিল খুব মিশুক। সবার সাথে হাসি ঠাট্টাতে মেতে থাকতো সারাক্ষণ। কর্মঠ বন্ধুটি বোনদের বিয়ে দিয়ে স¤প্রতি ঘর নির্মাণ করেছিল। বিয়ে করে সংসার করবে এমন স্বপ্ন ছিল তার। তা আর হলো কি করে ? তার আগেই যে চলে যেতে হলো পরপারে।