মাদার তেরেজা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ একটি সেবামূলক সংগঠন। এ সংগঠনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি সুকুমার চৌধুরী। মোহরা গৌরাঙ্গ নিকেতনে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মানবতামূলক কাজ করার জন্য মাদার তেরেজা ফাউন্ডেশন কাজ করছে। গৌরাঙ্গ নিকেতনে ধর্মীয় কর্মকান্ডের সাথে মানবতামূলক কাজগুলো করছেন ফাউন্ডেশন। তারই আলোকে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। গৌরাঙ্গ নিকেতনে ৬দিনব্যাপী মহোউৎসবে বিশ্বের ১০টি দেশ থেকে ভক্তবৃন্দরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
মোহরা গৌরাঙ্গ নিকেতনে বিগত ২৭ বছর ধরে ধর্মীয় ভাবধারা নিয়ে মহাউৎসব করে আসছে। এ মহাউৎসবের প্রতিষ্ঠা করেন বিশিষ্ট ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি প্রয়াত গৌরাঙ্গ চন্দ্র চৌধুরী। বিগত ২০১৬ সালে আমরা ধর্মীয় কর্মকান্ডের পাশাপাশি মানবতামূলক কর্মমূখী গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচীর মধ্যে গরীব ও মেধাবী ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, গরীবদের মধ্যে কম্বল বিতরণ, অসহায় ব্যক্তিদের মধ্যে ভাল খাবার বিতরণ এবং ৫ দিনব্যাপী মাদার তেরেজা হাসপাতাল পাহাড়তলীতে রোগীদের মধ্যে খাবার বিতরণ কর্মসূচী ছিল। এই কর্মসূচী সফল করতে সর্বস্থরের মানুষের সহযোগিতা ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে ৭ই ফেব্রুয়ারী হতে ১১ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৫ দিনব্যাপী মহাউৎসব অনুষ্ঠিত হবে চাঁন্দগাওস্থ মধ্যম মোহরা গৌরাঙ্গ নিকেতনে। অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মন্ত্রী বর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আন্তর্জাতিক ইসকন ভক্তবৃন্দ, সুধীজন, সাংবাদিক, সাহিত্যিক সহ সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করবেন। ৭ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৩টায় গৌরাঙ্গ নিকেতনে ৬দিনব্যপাী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বিমান ও বেসামরিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি।
আপনারা জানেন আমাদের প্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমরা এবার ধর্ম ও মানবতার আলোকে কাজ শুরু করবো। সে কারণে ৮ ফেব্রুয়ারী আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে “আমরা কেমন বাংলাদেশ চাই” এই বিষয়টি সারা বাংলাদেশে মাদার তেরেজা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে সেমিনার, আলোচনা ও স্কুল ভিত্তিক কর্মসূচীর মাধ্যমে এ বিষয়টিকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে এবং আমরা মনে করি এটাই হবে আমাদের ২০১৯ সালের নির্র্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে সবচেয়ে বড় কাজ।
আপনারা জানেন ১৯৫২ সালে আমাদের দেশের সোনরা ছেলেরা মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিল। শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে বিদেশী শিল্পীরা ৭ ফেব্রুয়ারী আমাদের শিল্পীদের সাথে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী গানটি গাইবেন।
৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারী আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন বিশ্বের ১০টি দেশের ভক্তবৃন্দ। ইসকনের ভক্তবৃন্দ, ভারতের বৃন্দাবন থেকে আগত সাধুবৃন্দ, বাংলাদেশের প্রত্যেক অঞ্চল থেকে আগত ভক্তবৃন্দ, জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিল্পী সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সহ সর্বস্তরের ভক্তবৃন্দ। এই অনুষ্ঠান এখন আন্তজার্তিক পর্যায়ের একটি অনুষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে।
ধর্ম ও মানবতার আলোকে আমরা এবার চট্টগ্রামের প্রায় ২০টি স্কুলের ১৫০ জন ছাত্র ছাত্রীকে গৌরাঙ্গ স্মৃতি বৃত্তি, ১৫০ জন গরীব ছাত্র ছাত্রীকে শিক্ষা সামগ্রী ও ২০০ জন শীতার্থদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। আমদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে আহ্বান জানাবো আসুন আমরা সকলে মিলে মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করি। আপানাদের প্রতিটি মুহুর্ত মূল্যবান সত্ত্বেও কষ্ট করে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য মাদার তেরেজা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।