বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির টাকা আদায়ে সরকার বিকল্প চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
তিনি বলেছেন, টাকা কিভাবে আনা যায় তার জন্য নতুন কৌশল নিয়ে আলোচনা চলছে।
রিজার্ভ চুরির এক বছর পূর্তির দিন আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কিভাবে বাকি টাকা আনা যায় তা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিমত চাওয়া হয়েছে। কী করবো সেটা নিয়ে আমরা নিজেরা আলোচনা করতে চাই।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। কী করবো নিজেদের মধ্যে একটু আলোচনা করতে চাই। অনেক দিন হয়ে গেলে।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি চুরি হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ। ওই ঘটনায় চুরি হয় ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া দুই কোটি ডলার ফেরত আসে। বাকি আট কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনে। ফিলিপাইন থেকে এখন পর্যন্ত ফেরত এসেছে দেড় কোটি ডলারের মত। বাকি রয়েছে আরো সাড়ে ছয় কোটি ডলার (৫১০ কোটি টাকা)। বাকি অর্থ ফেরত নিয়ে চলছে টানাপড়েন।
৫ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরি হলেও বিষয়টি জানাজানি হয় প্রায় দেড় মাস পর। তথ্য লুকিয়ে রেখেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ঘটনায় ১৫ মার্চ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান। একই দিন সরিয়ে দেয়া হয় দুই ডেপুটি গভর্নরকে। তৎকালীন ব্যাংকিং সচিবকেও করা হয় বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এরপর সাবেক অর্থসচিব ফজলে কবিরকে গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। আড়াই মাস তদন্তের পর গত ৩০ মে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে জমা দেয় তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তা প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দেন অর্থমন্ত্রী। এরপর তিন দফা সময় দিয়েও এখনো তা প্রকাশ করা হয়নি। ফলে জানা যায়নি এ ঘটনায় জড়িতদের বিষয়েও।