অলিকুল সম্রাট, ইমামে আহলে ছুন্নত, হযরত আল্লামা, হাফেজ-ক্বারী সৈয়দ গোলাম রহমান এছমতি রহমাতুল্লাহে আলাইহে (প্রকাশ বড় হাফেজ শাহ কেবল) এর ৫৬ তম ওরশ মোবারক উপলক্ষে গত ৭ই ফালগুন ১৯ ফেব্র“য়ারি’১৭ রবিবার আঞ্জুমানে ইখওয়ানে মারেফাত ট্রাস্টে এর পরিচালনায় ও রহমানিয়া দরবার শরীফের উদ্যোগে মাস্তান নগর, মিরসরাই রহমানিয়া দরবার শরীফ ও জামেয়া রহমানিয়া ফাজিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এক বিশাল আজিমুশশান সুন্নী মহাসম্মেলন ও সালাতুস্ সালাম মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভ্পাতিত্ব করেন সর্বপ্রথম বংলা ভাষায় কোরআনের সুন্নী হোসাইনী তাফ্সীর-তফ্সীরে মাশাহিদুল ঈমানের প্রণেতা ও বাংলায় সর্বপ্রথম বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ তাফহীমূল বুখারীর প্রণেতা ইমামে আহলে ছুন্নাত, পীরে মোকাম্মেল, হযরতুল আল্ল¥ামা সৈয়দ মুহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ্ (মা.জি.আ.)। সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের আহ্বায়ক আল্লামা ইমাম হায়াত। সম্মেলনে আরো অগণিত আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েক, আশেকে রাসূল-স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করেন। উক্ত সম্মেলনে অলিকূলের শিরমণি আগ্রাবাদের মহান মুরশিদ কেবলা বলেন, প্রিয়নবী সৃিষ্ট উৎস, অদ্বিতীয়, অতুলনীয়, সর্বজগতের প্রাণ, জীবনের মূল, আতœার মূল, ঈমানের মূল, ইসলামের মূল, জীবনের সর্বোচ্চ আপন ও সমগ্র মানবমন্ডলির জন্য রহমত-নিয়ামত। আতœাজীবন শতভাগ প্রিয়নবীর হওয়ার মাধ্যমে দু’জাহানের মুক্তি লাভ করে, আর প্রিয়নবী(সা.)’র সাথে সম্পর্কহীন সকল আত্মাই মৃত। মনে রাখতে হবে তাওহিদ-রেসালত-খেলাফত-ইমামত-বেলায়েত চিরন্তন ধারা সত্য ও সুপথ প্রাপ্তির যুগপথ এক অবিছিন্ন ধারা। এরমধ্যে যে কোন একটি অস্বীকার করলে মানবাতœা সত্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।
প্রিয়নবী না হলে যেমন আল্লাহতায়ালার হওয়া যায় না, তেমনি আউলিয়াকেরামেকে আস্বীকৃতি, অসম্মান বা আউলিয়াকেরামের সাথে শত্রুতা করে প্রিয়নবীর হওয়া যায় না। তাই আল্লাহ ও প্রিয়নবীর আপন হওয়ার জন্যই আউলিয়াকেরামের আপন হওয়া আবশ্যক। তিনি মুসলমান নামধারী নবী বিদ্বেষী-খারেজী বিভিন্ন বাতেল দলমত যারা প্রিয়নবীর আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা-গুণ যেমন প্রিয়নবী সর্বাঙ্গনূর, হাজির নাজির, হায়াতুননবী, গায়েবের সংবাদদাতা হিসেবে বিশ্বাস করেনা, প্রিয়নবীকে মুহাব্বতে ডাক দেওয়া-ইয়া রাসুলাল্লাহ বলা বা তার উচ্চ সম্মান করাকে শিরিক বলে বিশ্বাস করে তারা প্রকৃত পক্ষে পথভ্রষ্ট খারেজী-বাতেল দল। তিনি মুসলিম জনগণকে তাদের সংশ্রবতা থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার পরামর্শদেন এবং সকল প্রকার বস্তুবাদী মতবাদ, বাতেল-ফেরকা, ধর্মিয় উগ্রবাদ ও নবীদ্রোহীতা থেকে জীবনকে মুক্ত করে সকল মুসলমান নর-নারীদেরকে সত্য-সুবিচার-মানবতা-অধিকার ভিত্তিক একমাত্র দল আহলে সুন্নত ওয়াল জমাতের পতাকা তলে সমবেত হয়ে দু’জাহানের কামিয়াবি হাসিল করার উদাত্ত আহবান জানান। পরিশেষে তিনি বাংলাদেশসহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া মোনাজাত করেন।