॥ গুইমারা সংবাদদাতা ॥ ভোট কেন্দ্রে কোন প্রকার দুই নম্বরির চিন্তা করার কোন সুযোগ নেই মন্তব্য করে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেছেন, শুধুমাত্র আইন-শৃংলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিসার, ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা অন্য কেউ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেনা। ভোট কেন্দ্র থেকে বিভ্রান্তিকর কোন তথ্য যেন বাহিরে যেতে না পারে সে লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ।
শুক্রবার (৩মার্চ) সকালে জেলার নব-সৃষ্ট গুইমারা উপজেলার প্রথম নির্বাচন উপলক্ষ্যে উপজেলা নির্বাচন অফিসের উদ্যেগে আয়োজিত প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং এজেন্টের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্টানে সুপারভাইজিং প্রশিক্ষক ছিলেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোঃ মজিদ আলী। তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টিকারী যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবেনা। নির্বাচনে স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে তিন স্তরের বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। এতে ভ্রাম্যমান আদালতের পাশাপাশি ৩ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের দুটি বিশেষ টিম, পুলিশ বাহিনীসহ আনসার ও ভিডিপি সমস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রিটার্নিং অফিসার এ.টি.এম কাউসার হোসেন, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম মশিউর রহমান, রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ আহাম্মেদ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: কামরুল হাসান, গুইমারা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো: রিপন হোসেন প্রমূখ। প্রশিক্ষনে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাচন অফিসারগণ নির্বাচনী প্রশিক্ষক ছিলেন।
উল্লেখ্য, গুইমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪টি ভোট কেন্দ্রের ৯৮টি বুথে ২৭ হাজার ৯৯২জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪, ৩৬৭ জন, ও মহিলা ভোটার ১৩,৬২৫ জন।