রাঙ্গামাটি শহরের ডিসি বাংলোর পার্ক থেকে জঙ্গি সন্দেহে ৬জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। জঙ্গিরা শহরের নাশকতা সৃষ্টি করতে পার্কে গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদ পেয়ে ডিবি পুলিশ রবিবার (১৯মার্চ) রাতে পাকে অভিযান চালায়। এসময় জঙ্গি সন্দেহে রংপুরের ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতিসহ ৬জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে জেহাদি বইসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে রংপুরের পীরগাছা থানার পুলিশ হত্যা মামলাসহ রংপুরের ৭টি মামলার আসামী কারমাইকেল কলেজের ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ রয়েছেন। তার নেতৃত্বে রাঙ্গামাটিতে নাশকতা সৃষ্টির জন্য বৈঠক করছিল তারা। এই বৈঠকে ফটিকছড়ি দুইজন ও রাঙ্গামাটির ৩জন শিবির কর্মী যোগ দেয়।
আটককৃরা হলেন, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ইউসুফ বিন মিরাজ ও ইরফানুল হক, রাঙ্গামাটির মোস্তাফা কামাল, সাখাওয়াৎ হোসেন ও মুক্কুর আলম। তাদের বিরুদ্ধে রাঙ্গামাটি কতোয়ালী থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এব্যাপারে রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জায়গায় পর পর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের অভিযানগুলো জোরদার করছি এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্তক অবস্থানে রয়েছে। এই সর্তকর্তামূলক অংশ হিসেবে আমরা বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অভিযান পরিচালনা করছি। রবিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিসি পার্ক সংলগ্ন এলাকায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অভিযান পরিচালনা করি এবং সেখান থেকে আমরা ৬জনকে আটক করি। জঙ্গী সন্দেহে তাদেরকে আটক করা হয় এবং আমাদের সন্দেহ হচ্ছে তারা নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকতে পারে। আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু পুস্তক জেহাদী বইসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করেছি। এইগুলো যাচাই বাছাই করছি এবং তাদের ইতিহাস যাচাই বাছাই করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
তিনি আরো জানান, যে ৬জনকে আটক করা হয়েছে তার মধ্যে ১জনকে পেয়েছি যার নাম হারুনুর রশীদ সে কারমাইকেল কলেজ ছাত্র শিবিরের সভাপতি ছিল এক সময় এবং তার নিজের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সে রংপুর সদরের তার বিরুদ্ধে ৭টি মামলা রয়েছে এবং পীরগাছা থানায় ১টি মামলা রয়েছে। যে মামলাটি ২০১৩ সালে পুলিশ হত্যা মামলায় জড়িত হিসেবে তার বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়া আছে।