লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ লামায় ইটভাটাগুলোতে লাকুড়ী জালানো প্রায় শেষ। পাহাড় কাটা শুরু হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় যান্ত্রিক উপায়ে পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ করছে ইট খোলা মালিকরা। ফাইতং ৭ নং ওয়ার্ড লাম্বাশিয়া গ্রামে তর্কিত ভুমির পাহাড় কর্তন করছে জনৈক রশিদ আহমদ। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, স্কেভেটার-এর মাধ্যমে পাহাড় কেটে মাহমুদুল হক কোম্পানীর মালিকানাধীন এস.বি.এম ব্রিকফিল্ডে ইট তৈরির জন্য মাটি মজুদ করা হচ্ছে। তর্কিত ভুমি নিয়ে ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে জজ আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানাগেছে। উপজেলা ও পৌর এলাকায় স্থাপিত এসব ফিল্ড সমুহে সবুজ কাঠ পোড়ানোর মহৎসব প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুর হয়েছে পাহাড় কাটা। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ফাইতং ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি ব্রিকফিল্ডে মাটির যোগান দিতে পাহাড় কাটছে। প্রশাসনের নজর এড়াতে সাধারণত বর্ষা মৌসুমে পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ করে ইটখোলা মালিকরা। কারণ বর্ষায় কাদামাখা সড়কে প্রশাসনের লোকজন যাওয়া আসা করতে পরেন না।স্থানীয়দের অভিযোগ; বাড়ি ঘর নির্মাণের জন্য পাহাড়ের মাটিতে কোদাল লাগালেই প্রশাসন মোটাংকের জরিমানা করে দেয়। অপর দিকে বিভিন্নস্থানে ব্রিকফিল্ডগুলোতে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটার দৃশ্য দেখেও না দেখার ভান করে আছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ নজরে আনা দরকার।