সীতাকুণ্ডে অভিযান: ৪ জঙ্গি নিহত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের প্রেমতলায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানে এক নারীসহ চার জঙ্গি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন সোয়াত টিমের ২ সদস্য। তাদের চট্টগ্রাম সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম চার জঙ্গি নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সীতাকুণ্ডে চৌধুরী পাড়ার ‘ছায়ানীড়’ নামের বাড়িতে অভিযানে সম্পন্ন করার পর পুলিশ সেখান থেকে ১৮ জনকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে। জঙ্গিবিরোধী এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬’।

অভিযানে সম্পন্ন করার পর ডিআইজি শফিকুল ইসলাম সেখানে সাংবাদিকদের জানান, জঙ্গিরা বাড়ির মধ্যে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে চারজন নিহত হয়েছে। তাদের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় চেহারা ঠিকমতো বোঝা যাচ্ছে না।

এর আগে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এবং সোয়াতের সমন্বিত বাহিনী সকাল সোয়া ৬টার দিকে অভিযান শুরু পর জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক গোলাগুলি হয়। এর পর বাড়ির ভিতরে বিকট শব্দে বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বাড়ির ছাদ অনেকটা উড়ে যায়।

ঢাকা থেকে আসা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক জহির উদ্দিন বলেন, জঙ্গিবিরোধী অভিযান শেষ। এখন বাড়ির ভেতরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জঙ্গিদের কাছে শক্তিশালী বোমা ছিল, যা অপারেশনের সময় তারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। বোমা বিস্ফোরণে তারা নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে বুধবার দুপুরে সীতাকুণ্ড সদরের নামার বাজার এলাকায় একটি বাড়িতে জঙ্গিরা বসবাস করছে বলে বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয়। জঙ্গিদের ঘরে বাইরে থেকে তালা দিয়ে বাড়ির মালিক থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ‘সাধন কুঠির’ নামে ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এরপর সেখান থেকে জঙ্গি দম্পতি ও তাদের ৪ মাস বয়সের এক শিশুকে আটক করে পুলিশ। সেখান থেকে বিপুল গ্রেনেড ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।

আটক দুইজনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ড ডিগ্রি কলেজের পিছনে প্রেমতলা চৌধুরী পাড়ার ‘ছাড়ানীড়’ নামে অপর একটি ভবন ঘিরে ফেলে। সেখানে অভিযান চালাতে গেলে বাড়ির ভিতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে সীতাকুণ্ড থানার ওসিসহ (তদন্ত) ‍দুইজন আহত হন।

এর পর পুলিশ পিছু হটে। পরে রাত একটার দিকে দু্টি মাইক্রোবাস ও একটি পিকআপভ্যানে করে ঢাকা থেকে সোয়াত টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর আগে ঢাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

আর চট্টগ্রাম থেকে র‌্যাব, সোয়াত (স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস) ও পুলিশের বোমা নিষ্ক্রীয়করণ দলের সদস্যরাও সেখানে অবস্থান নেন। এর পর সকাল সোয়া ৬টা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবগুলো ইউনিট অভিযান শুরু করে। অভিযানের কিছু সময়ে বাড়ির ভিতরে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031