শিরোনাম
প্রচ্ছদ / অর্থনীতি / ২০৫০ সালে বাংলাদেশ হবে ২৩তম অর্থনীতির দেশ-মন্ত্রী আমু

২০৫০ সালে বাংলাদেশ হবে ২৩তম অর্থনীতির দেশ-মন্ত্রী আমু

দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র উদ্যোগে “২৫তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৭” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১৯ মার্চ বিকেলে রেলওয়ে পোলোগ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়। চিটাগাং চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি, বিশেষ অতিথিদ্বয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন ও এফবিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) এবং চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সিআইটিএফ’১৭ এর চেয়ারম্যান মোঃ নুরুন নেওয়াজ সেলিম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ, অনারারী কনস্যূল, ডিপ্লোম্যাটস, সরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিসিসি কাউন্সিলরবৃন্দ, বিভিন্ন ট্রেডবডি নেতৃবৃন্দ, অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিসহ নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি আমির হোসেন আমু এমপি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে চট্টগ্রাম অঞ্চলে টেকসই ও সুসংহত শিল্পখাত বিকাশের পাশাপাশি উৎপাদিত শিল্পপণ্য বৈচিত্রকরণে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ইতিবাচক অবদান রাখছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন-শিল্প মন্ত্রণালয় প্রণীত জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬ এ বেসরকারী উদ্যোক্তাদের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা ও নীতি সহায়তা বাড়ানো হয়েছে। শিল্প মন্ত্রী ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে জিডিপি-তে সার্বিক শিল্পখাতের অবদান ৩১.৫৪% যেখানে ম্যানুফেকচারিং শিল্পখাতে মোট প্রবৃদ্ধি ১১.৬৯% উল্লেখ করে তৈরী পোষাক শিল্প, জাহাজ নির্মাণ, জুতা ও ঔষধ শিল্পের সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন।

বিশেষ অতিথি সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন-জিডিপিতে ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত চিহ্নিত সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে। তিনি বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ চট্টগ্রামের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বেগবান করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। কর্ণফুলীর তীর ঘেঁষে রিং রোড নির্মাণ করে যানজট নিরসন ও শহরের মূল সড়কের উপর অত্যাধিক চাপ হ্রাস করা সম্ভব উল্লেখ করে পরিবেশবান্ধব মহানগর গড়ার আহবান জানান সিটি মেয়র।

বিশেষ অতিথি এফবিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) বলেন-বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য বিকাশে বিশেষ করে রপ্তানী পণ্যের প্রচার, বাজার সম্প্রসারণ এবং পণ্যের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজন একটি প্রয়োজনীয় ও যথার্থ উদ্যোগ। তিনি রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে দেশীয় রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানো প্রয়োজন এবং কারখানার উৎপাদন পরিবেশ, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স বিষয়গুলো প্রতিপালনের উপর অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন-বর্তমান প্রবৃদ্ধিতে ২০২১ সালের মধ্যে রপ্তানি ষাট বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত উন্নীত করা সম্ভব । তবে এ ক্ষেত্রে চট্টগ্রামসহ সমুদ্র বন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, নতুন নতুন কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ এবং রেল, নৌ ও সড়ক যোগাযোগের সুবিধা কাজে লাগাতে বে-টার্মিানাল সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি কাস্টমস্’র লোকবল বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওয়ান স্টপ সার্ভিস এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের ক্ষমতায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। চিটাগাং চেম্বারসহ অন্যান্য চেম্বারের মেলা আয়োজনের জন্য একটি স্থায়ী ভেন্যুর দাবী জানান চেম্বার সভাপতি।

চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ২৫তম সিআইটিএফ-২০১৭ কমিটির চেয়ারম্যন মোঃ নুরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন-উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশগ্রহণের ফলে লব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে অনেক শিল্পের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন এবং নতুন নতুন শিল্পোদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে । উল্লেখ্য, ১৯ মার্চ শুরু হওয়া মাসব্যাপী এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রতিদিন সকাল ১০.০০ টা থেকে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত চলবে।

 

পড়ে দেখুন

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

॥ ডেস্ক রিপোর্ট ॥ অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের শহীদদের …