॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসুক ও বিষু তথা বৈসাবীর উৎসবের ২য় দিন গতকাল বৃহস্পতিবার অতিবাহিত হয়েছে। উৎসবের ২য় দিনে পুরো রাঙ্গামাটি ছিল উৎসবের আমেজে। বাড়ি আর বাড়ি গিয়ে একে অপরের কুশল বিনিময় ও আপ্যায়নের মাধ্যমে পাহাড়ী বাঙ্গালী নির্বিশেষে দিনটিকে কাঠিয়েছে আনন্দঘন মূহূর্তে। প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে ছোট, বড় আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সকলে ব্যস্ততার মাধ্যমে গতকালের দিন অতিবাহিত করে।
আজ ১৪ এপ্রিল শুক্রবার পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরকে নিজ নিজ রীতিনীতিতে বরণ করে নেবে পাহাড়ের মানুষ গুলো। পাহাড়ী বাঙ্গালী সকলের মাঝে এ দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ পহেলা বৈশাখে রাঙ্গামাটিতে র্যালী ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি বাংলা নববর্ষ ১৪২৩ উদযাপন পরিষদ শহরে পহেলা বৈশাখের নানান অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলো নিজ নিজ ব্যানারে পহেলা বৈশাখ নিজেদের মত বরণ করে নেবেন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠান শুরু হবে আজ সকাল ৮ টায়। পৌর প্রাঙ্গন থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে অনুষ্টিত হবে যেমন খুশী তেমন সাজো। সকাল সাড়ে ৯ টায় টায় বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকাল ১০ টায় শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। বিকাল ৩ টায় বলি খেলা ও অন্যান্য বিনোদন মুলক ক্রীড়া অনুষ্ঠান স্থান রাঙ্গামাটি মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুর শুক্কুর স্টেডিয়াম। দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন থাকছে কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গনে।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাহাড়ি জনগোষ্ঠী মারমা সম্প্রদায়ের জমকালো পানি উৎসব পালন করা হবে ১৬ এপ্রিল সোমবার রাঙ্গামাটি বেতবুনিয়া স্কুল মাঠে বর্নাঢ্য এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। পানি উৎসবে কয়েক হাজার লোকের সমাগম হবে বলে আশা প্রকাশ করছে আয়োজক কারীরা। পার্বত্য এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশী লোকসমাগম এ অনুষ্ঠানে হয়ে থাকে। তাই সকল কিছুকে মাথায় রেখে একটি সুন্দর অনুষ্ঠান যেন সকলে উপভোগ করতে পারে সেদিকে সর্বোচ্চ দৃষ্টি রাখা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, সহ দেশী বিদেশী অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন।