সড়ক দুর্ঘটনায় খাগড়াছড়ির মং সার্কেলের রাজা পাইহলা চৌধুরী মৃত্যুর পর থেকে এখানে তেমন একটা জাকজঁমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হয়নি। শুক্রবার তার বড় মেয়ে উমাচিং চৌধুরীর বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাজবাড়ি প্রাঙ্গনে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে পাহাড়ের রাজকন্যার বিয়ে।
পাইহলা চৌধুরী মৃত্যুর পর তার ছেলে সাচিং চৌধুরী খাগড়াছড়ির মং সার্কেলের মং চীফের (মং রাজা) দায়িত্ব নেন। শুক্রবার রাজকন্যার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা উপলক্ষে আনন্দে মেতে উঠে পুরো রাজ পরিবার। রাজমাতা মাধবীলতা চৌধুরী অনুষ্ঠানে ঘুরে ঘুরে আপ্যায়নের তদারকি করেন এবং কুশল বিনিময় করেন।
তিনি বলেন, আমার দুই কন্যা ও এক ছেলে। সন্তানরা বারবার তাদের বাবার কথা বলছে। আমি বলেছি, আমি তো আছি। বাবা হলেও আমি, মা হলেও আমি।
প্রয়াত রাজার একমাত্র ছেলে বর্তমান রাজা সাচিং চৌধুরীকে দেখা গেছে আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাতে। অনুষ্ঠানস্থলের সম্মুখে বাঁশের বেড়া ও ছনের তৈরি সাদামাটা একটি বিয়ের স্টেজ। তাতে বসে আছে রাজকন্যা উমাচিং চৌধুরী ও রাজ জামাতা উথোয়াই মারমা। বিয়েতে দু’জনেই বর ও কনের বেশে মারমা সম্প্রদায়ের পোশাক পরিধান করেছে।
এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুশফিকুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহেদুল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমণি চাকমা, হেডম্যান এবং করবারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠানে আসা মারমা তরুণ-তরুণীদের নেচে-গেয়ে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করে নতুন রাজজামাতা ও রাজকন্যাকে স্বাগত জানাতে দেখা গেছে।