আইপিএলের দশম মৌসুমের শুরুটাই চোখ ধাঁধানো জয় দিয়ে করল গৌতম গম্ভীরের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স। অথচ শুক্রবার রাজকোটে শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কলকাতার অধিনায়ক। তবে গুজরাট লায়ন্সের বিরুদ্ধে নির্দয় প্রহারের শিকার হলেন নাইট বোলাররা। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তুলল সুরেশ রায়নার দল। পুরনো দলের বিরুদ্ধে ৪৭ বলে ৫৮ রান করলেন প্রাক্তন নাইট ওপেনার ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। মারলেন ৪টি বাউন্ডারি এবং দু’টি ওভার বাউন্ডারি। কিউয়ি তারকাকে আটকাতে রীতিমতো কালঘাম ছুটে গিয়েছিল কলকাতার বোলারদের।
শেষে চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হলেন তিনি। তাতেও অবশ্য ঝড় থামেনি। কারণ উইকেটের অন্যপ্রান্ত থেকে তখন ঝড় তুলছিলেন অধিনায়ক সুরেশ রায়না। দু’দুবার জীবন পেলেও ৫১ বলে অপরাজিত ৬৮ রান করেন তিনি। মারেন ৭টি ওভার বাউন্ডারি। পীযূষ চাওলা, কুলদীপ যাদবদের মতো স্পিনারদের পাশাপাশি ট্রেন্ট বোল্টের মতো দাপুটে ফাস্ট বোলারকেও অসহায় দেখিয়েছে তাঁর সামনে। নাইটদের ‘কালো ঘোড়া’ সুনীল নারাইনকে তো রীতিমতো নিষ্প্রভ দেখিয়েছে।
অধিনায়ক রায়নার সঙ্গে যোগ্য সঙ্গ দিলেন দীনেশ কার্তিক। করলেন ২৫ বলে ৪৮ রান। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারি। নাইট শিবিরের বোলারদের মধ্যে সফলতম কুলদীপ। ২৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। গুজরাটের বিরাট স্কোর দেখে অনেকেই মনে করছিলেন, দলের মালিক শাহরুখ খানের উপস্থিতিতে মরশুমের প্রথম ম্যাচে হারের স্বাদ পেতে হবে। কিন্তু ছবিটা পাল্টে গেল নাইটদের দুই ওপেনার গৌতম গম্ভীর এবং ক্রিস লিন মাঠে নামতেই। প্রবীণ কুমার, ধবল কুলকার্নি, মনপ্রীত গোনি, ডোয়েন স্মিথদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করলেন তাঁরা। ৪৮ বলে ৭৬ রান করলেন গম্ভীর। মারলেন ১২টি বাউন্ডারি। অন্যদিকে সংহারক মূর্তিতে ছিলেন ক্রিস লিন। তিনি ৪১ বলে ৯৩ রান। তিনি মারলেন ৮টি ওভার বাউন্ডারি। ৬টি বাউন্ডারি। পাশাপাশি নজর কাড়ল গম্ভীরে অধিনায়কত্বও। ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেলেন লিন।