রোববার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ২ মে থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত ২৪ টাকা কেজি দরে ৭ লাখ টন ধান ও ৩৪ টাকা দরে ৮ লাখ টন চাল কেনা হবে।
গত বছর ২৩ টাকা কেজি দরে ৭ লাখ টন ধান এবং ৩২ টাকা কেজিতে ৬ লাখ টন চাল কিনেছিল সরকার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবার বোরো ধান-চালের বাইরে ২৮ টাকা কেজি দরে এক লাখ টন গম কেনা হবে।
আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত গম কেনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রতিকেজি গমের উৎপাদন খরচ ২৮ টাকার মতো পড়েছে।”
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “কৃষকদের আমরা অ্যাকাউন্ট পে চেকের মাধ্যমে পেমেন্ট করব, যাতে সরাসরি সেই মূল্যটা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে জমা হয়, কোনো রকম যাতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম না থাকে।”
এ বছর প্রতি কেজি ধানের উৎপাদন খরচ ২২ টাকা এবং এক কেজি চালের উৎপাদন খরচ ৩১ টাকা পড়েছে বলে জানান তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ৮ লাখ টন চালের মধ্যে ৩৩ টাকা কেজি দরে এক লাখ টন আতপ চাল কেনা হবে।
অসময়ে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণায় হাওরের কৃষকদের ক্ষতি হওয়ায় তাদের ওএমএসের মাধ্যমে চাল ও আটা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে কামরুল বলেন, এছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলমান আছে।
বোরোর উৎপাদন এবার বেশি হয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, হাওর এলাকায় বোরোর কিছু ক্ষতি হলেও অন্য জায়গায় বাম্পার ফলন হওয়ায় সেই ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।
হাওর এলাকায় বোরো ধানের ক্ষতি হওয়ায় (চালের আকারে) সাড়ে চার লাখ টনের মত চাল নষ্ট হবে বলেও জানান তিনি।
এ বছর এক কোটি ৯১ লাখ ৫৩ হাজার টন বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে জানিয়ে কামরুল বলেন, “টার্গেট ফুলফিল করতে পারব, কোনো অসুবিধা হবে না।”
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।