বান্দরবানের লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের উদ্বোধন করলেন পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
রবিবার (৩০এপ্রিল) সকাল ১০টায় বান্দরবানের দুর্গম লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে ৬ কোটি বিশ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বাইশপাড়ি হতে চিন্তাবর পাড়া পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার রাস্তা ও গজালিয়া বমু খালের উপর ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৭০ মিটার ব্রীজের উদ্বোধন করেন।
এসময় প্রধান অতিথির সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, লামা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খিংওয়ান নু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কামরুজামান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পার্র্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তফা জামাল, সদস্য ফাতেমা পারুল, লামা উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল, লামা পৌরসভার মেয়র মো:জহিরুল ইসলাম গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াই চিং মার্মা, ডেপুটি সিভিল সার্জন অংসুই প্রু, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার অমল কান্তি দাশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ ও সহকারী প্রকৌশলী মো:ইয়াছির আরাফাত, লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:আনোয়ার সহ প্রমুখ।
শেষে বিকেলে গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এক জনসভায় যোগ দেন প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এসময় বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপি বলেন, পার্বত্য এলাকায় সন্ত্রাস ও চাদাঁবাজদের কোন স্থান হবে না। সন্ত্রাসীদের যেখানে পাবেন সেখানে প্রতিরোধ করবেন। উন্নয়ন কাজে চাঁদা দাবি করলে সকলে মিলে বাঁধা দিবেন আর পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে শাস্তির আওতায় আনবেন। তিনি বলেন, ছাগল নাচে খুটির জোরে আর আমি নাচি শেখ হাসিনার জোরে। শেখ হাসিনার সদিচ্ছার কারনেই পাহাড়ে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। এ অঞ্চলের যতসব উন্নয়ন হয়েছে তার সবই প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কারণেই সম্ভব হয়েছে।
বর্তমান সরকার ভিজিএফ, ভিজিডি, বয়ষ্কভাতা, বিধবাভাতা, ১০ টাকা মূল্যের চাউল থেকে শুরু করে বিনামূল্যে বই বিতরণ ব্রিজ, কালভার্ট, মসজিদ, মাদরাসা, ক্যাং, গির্জা সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছেন। শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কথা ভাবেন। জাতির পিতা আমাদেরকে বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন। আর এ দেশের উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আন্তরিক ভাবে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় তিনি আরো বলেন, শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তাই পরিবারের যতই কষ্ট হউক না কেন পরিবারের ছেলে সন্তানদের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলতে হবে।
শেষে বিভিন্ন এলাকার অন্ধকার দূর করতে সোলার প্যানেল বিতরণ করেন পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।