॥ বান্দরবান সংবাদদাতা ॥ বান্দরবানে কাটা নিষিদ্ধ ২ হাজার ঘনফুট মূল্যবান চাম্পাফুল কাঠ জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা। সোমবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে এই কাঠ জব্দ করা হয়।
বন বিভাগ ও স্থানীয়রা জানায়, বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মো. কামাল হোসেন এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তা পাল্পউড বিপুল কৃষ্ণ দাশের নেতৃত্বে বনবিভাগের যৌথ অভিযানে বান্দরবানের ছয়টি স’মিলসহ (করাতকল) কাঠ ব্যবসায়ীদের কাঠের ডিপোতে অভিযান চালিয়ে কেটে রাখা নিষিদ্ধ প্রায় ২ হাজার ঘনফুট বিভিন্ন সাইজের মূল্যবান চাম্পাফুল কাঠের রদ্দা জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা কাঠগুলো কাঠ ব্যবসায়ী লেডা জাহাঙ্গীর আলম, শহীদুল্লাহ শহীদ মাস্টার, মোহাম্মদ কাওছার, শামসুদ্দীন শামু, হাজী আহম্মদ সৈয়দ, জানে আলম’সহ আরো কয়েকজনের বলে জানা গেছে। তবে বন বিভাগের অভিযানের খবর পেয়ে অনেকে চাম্পাফুল কাঠ সরিয়ে ফেলেছেন বলে জানা যায়। জব্দ করা কাঠের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন কাঠ ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় বাজারে প্রতি ঘনফুট চাম্পাফুল কাঠ ৩ হাজার টাকা এবং ঢাকায় সাড়ে তিন থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। চাম্পাফুল গাছ কর্তন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং এ কাঠ পরিবহন আইনগত অপরাধ।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, চাম্পাফুল গাছের ব্যক্তি মালিকানাধীন কোনো বাগান নেই। থানচি এবং রুমা উপজেলার সরকারি রিজার্ভ ফরেস্ট (সংরক্ষিত বনাঞ্চল) থেকে অবৈধভাবে মাদারট্রি সাইজের চাম্পাফুল গাছগুলো কেটে জেলা শহরের স’মিলগুলোতে আনা হয়েছে। সড়ক ও নৌ পথে বনবিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক চেকপোস্ট থাকার পরও কিভাবে সরকারি রিজার্ভ ফরেস্টের কাটা নিষিদ্ধ চাম্পাফুল কাঠ পাচার হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জড়িত না থাকলে কর্তন নিষিদ্ধ চাম্পাফুল কাঠগুলো সড়ক ও নৌ পথে কিভাবে পরিবহনে বান্দরবান আসে। রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে কাঠগুলো হেলিকপ্টার কিংবা বিমানে করেতো আনা হয়নি। অভিযুক্ত কাঠ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এবং জড়িত বনবিভাগের কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিভাগীয় বনকর্মকর্তা পাল্পউড বিপুল কৃষ্ণ দাশ জানান, চাম্পাফুল গাছ কর্তন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ কাঠের কোনো ধরণের পারমিট ইস্যু করা হয় না। সরকারি রিজার্ভ ফরেস্টের গাছ কর্তন এবং চাম্পাফুল কাঠ ব্যবসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধ চোরাই কাঠ উদ্ধারে বনবিভাগের যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।