॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন,বান্দরবান ॥ পার্বত্য চট্রগ্রামের দুর্গম এলাকায় বসবাসকারী সকল সম্প্রদায়ের মাঝে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌছে দিতে দশ হাজার সোলার প্যানেল বিতরণ করবে আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠান পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্পের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলায় পাঁচ হাজারেরও বেশি সোলার প্যানেল বিতরণ করেছে। পাহাড়ে যেসব এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ সুবিধা পৌছেনি যেসব এলাকার পাড়াগুলোতে এসব সোলার প্যানেল বিতরণ করা হচ্ছে। পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের চিনি পাড়ার ১৭টি পরিবারের মধ্যে সোলার প্যানেল বিতরণ কালে পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি এ তথ্য জানান।
পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবানের রেস্ট হাউসে অনুষ্ঠিত এই বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত সচিব ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, সোলার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো:মজ্ঞুরুল আলম, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্নিবান চাকমা, মো: আলী হোসেন, পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শহিদুল আলম, পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুল আজিজ, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, সদস্য ফিলিপ ত্রিপুরা, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিনী মেহ্লা প্রু মারমা, ডনবস্কো সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সীমা দাশ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জানান, পার্বত্য চট্রগ্রামে ৫৬৫ কোটি টাকার নতুন বিদ্যুৎতায়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ২৫০ কোটি টাকার সোলার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তিন পার্বত্য জেলায় মহিলাদের সাবলম্বি করতে গাভী বিতরণ করা হবে। তিন পার্বত্য জেলা বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ সব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর।
সোলার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো: মজ্ঞুরুল আলম জানান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে সোলার প্যানেল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে পার্বত্য চট্রগ্রামে। প্রকল্পটির ব্যায় ৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩৮ কোটি টাকাই সোলার প্যানেল বিতরণ কাজে ব্যায় করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে প্রায় ৩ হাজার সোলার প্যানেল বিতরন করা হয়েছে। দুর্গম যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা পৌছেনি যেসব এলাকায় সোলার প্যানেল গুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি নানা সুবিধা পাচ্ছে। আলোকিত হয়ে উঠেছে পাড়াগুলো। এদিকে অনুষ্ঠানের আগে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যায়ে উন্নয়ন বোর্ড রেস্ট হাউসের নতুন কটেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও ভিভিআইপি কক্ষের উদ্ধোধন করেন। উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুল আজিজ জানান, আধুনিক স্থাপত্য শৈলী ফুটিয়ে তুলা হয়েছে হিলটপ রেস্ট হাউসটিতে,এর মাধ্যমে হিলটপ রেস্ট হাউসটি পর্যটকদের জন্য আরো আর্কষনীয় হবে।