রাঙ্গামাটি শহরের হোটেলগুলোতে আবারো বেড়েছে অসামাজিক কর্মকান্ড। একের পর এক অভিযান পরিচালনার পরও কিছুতেই যেন অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে সরে আসছেনা শহরের আবাসিক হোটেলগুলো। প্রভাবশালী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরেই শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেলে চলে আসছে অবৈধ পতিতা ব্যবসা।
স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে রিজার্ভ বাজারের হোটেল আল হেলাল থেকে চার নারীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই লিমন বোস জানিয়েছেন, গোপনে সংবাদ পেয়ে অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রশিদ এর নির্দেশনায় আমরা রিজার্ভ বাজারস্থ হোটেল আল হেলালে অভিযান পরিচালনা করি, এসময় হোটেলটির বিভিন্ন রুমে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় চার নারীসহ হোটেলটির ম্যানেজার সুমনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
তিনি জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজারের জামে মসজিদের সামনে অবস্থিত হোটেল আল হেলালে প্রতিনিয়ত অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছে জনৈক কাশেম নামীয় বিদেশ ফেরত এক ব্যক্তি যার বিরুদ্ধে এর আগেও কোতয়ালী থানায় অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের ছিলো। এর বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য কিছুদিন আগেও হোটেল আল হেলালে স্থানীয় মুসল্লিরা হামলা চালায়। সেসময় তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং কাশেমের মোটর সাইকেলসহ তার হোটেল থেকে বেশ কয়েকজন নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছিলো। কিন্তু সেই মামলায় জামিনে বের হয়ে আবারো হোটেল আল হেলালে দেহ ব্যবসা শুরু করে কাশেম।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, একের এক অসামাজিক কর্মকান্ড কয়েকটি আবাসিক হোটেল প্রতিনিয়ত চালিয়ে আসলেও হোটেল মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এসবের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনা। বলতে গেলে তাদের প্ররোক্ষ প্ররোচনায় সেসব আবাসিক হোটেলগুলো অবাধে চালিয়ে আসছে দেহ ব্যবসা।
এসবের বিরুদ্ধে স্থানীয় সচেতন মহল বেশ কয়েকবার স্বোচ্চার ভূমিকা রাখলেও প্রভাবশালী চক্রের হুমকির মুখে চুপসে যেতে হয়েছে তাদেরও।