বাংলাদেশ-ভারত সামরিক চুক্তিটাকে যৌক্তিক প্রমাণ করার জন্য দেশে কয়েকদিন যাবত জঙ্গিবাদের উৎসব চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, “ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তিকে অগ্রাধিকারে আনার জন্য কয়েকদিন যাবত দেশে জঙ্গিবাদের উৎসব চলছে। অথচ মাঝখানে কিন্তু চুপচাপ ছিল, মাঝখানে তেমন শোনা যায়নি।
এখন প্রতিমুহূর্তে, প্রতিদিন, সেই আশকোনা থেকে শুরু করে সিলেট, সিলেট থেকে মৌলভীবাজার, মৌলভীবাজার থেকে কুমিল্লা। কুমিল্লার পরে হয়ত যাবে খুলনা, খুলনা পরে যশোর ঘুরে আসবে ৭ তারিখ পর্যন্ত।”
তিনি বলেন, “আমরা বুঝি এগুলো। অর্থাৎ বাংলাদেশ-ভারত সামরিক চুক্তিটাকে যৌক্তিক প্রমাণ করার জন্য এ সকল ঘটনা নিয়ে নাড়াচড়া। এসব করবেন না। আমাদের একটা প্রবাদ আছে, সাপুড়ে সারাজীবন সাপ নিয়ে খেলে, সাপুড়ে কিন্তু সাপের ছোবলে মারাও যায়।”
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘দেশের সমস্যা- এটা আপনার একার কোনো সমস্যা না। যদি সমস্যা থাকে, আপনি দেশের মানুষকে নিয়ে বসেন, দেশের মানুষকে জানান, কোন কোন বিষয়ে, তাদের কী কী দাবির কারণে তারা আজকে বিপদগামী।’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এখন মন্ত্রিসভার সদস্য, এক সময়ের সশস্ত্র জঙ্গি। সে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতো না। সে গণবাহিনী করেছিল। তার ডেপুটি চিফ ছিল। এর চিফ ছিল কর্ণেল তাহের। আজকে সে (তথ্যমন্ত্রী) বলে খালেদা জিয়া নাকি জঙ্গিদের সঙ্গে, পাকিস্তানের দালাল। সে (ইনু) একটা জাতীয় বেয়াদব। এটা (ইনু) একটা বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার আজীবন বেতনভুক কর্মচারী।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই ইনু তার সশস্ত্র আন্দোলনের নামে শেখ মুজিবের মৃত্যু তরান্বিত করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। এখন শেখ হাসিনাকেও কফিনে ঠুকাবে কি না আমার সন্দেহ হয়। এই হাসানুল হক ইনুদের মতো মানুষ যেখানে থাকে, সেখানে শান্তি থাকতে পারে না। আজকে তিনি প্রতিদিন যা-ই মন চায় তাই বলেন।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়া বাংলদেশে জাতীয় নির্বাচন কোনকালে হবে না এবং দেশের মানুষ কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না উল্লেখ করেন গয়েশ্বর।
তিনি বলেন, এতে ইনুর কিছু যায় আসে না। সে কখনো নৌকায় উঠতে পারবে না। ইনু গুন টাইনা শেখ হাসিনার গুণকীর্তন করার মধ্য দিয়ে যে কয়দিন উচ্ছিষ্ট হালুয়া-রুটি ভাগ্যে আছে, ততদিন ভোগ করিবেন।
এরপর যেদিন ভাগ্যের বিড়ম্বনা হবে যেদিন তাকে রাস্তায়ও খুঁজে পাবে বলে মনে হয় না।
জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠির নেতা সভাপতি প্রলয় স্নাল এর সভাপতিত্বে এ আলোচনা হয়।