কাপ্তাইয়ে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে দু’হাজার পরিবারের বসবাস, দূর্ঘটনার আশংকা

॥ আহমদ নবী, কাপ্তাই ॥ কাপ্তাইয়ে পাহাড়ের পাদদেশে দু’ হাজার পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে এসমস্ত এলাকায় মারাত্বক দুর্ঘটনার আশংকা করা হচ্ছে। কাপ্তাই থেকে লিচু বাগান পর্যন্ত সড়কের পাশে পাহাড়ের পাদদেশে এসব পরিবারগুলো বসবাস করছে। যে কোন সময় পাহাড় ধ্বসে জান মালের ক্ষতি হতে পারে। ইতিমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। এতে জানমালেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কাপ্তাই উপজেলার কেপিএম ফকিরের ঘোনা, ছাদেকের ঘোনা, রেশম বাগান, তনচংগ্যা পাড়া, মিতিংগাছড়ি, বড়ইছড়ি, শীলছড়ি, ব্যাংছড়ি, চিৎমরম, লগ গেইট, বিশেষ করে নতুন বাজার ঢাকাইয়া কলোনী এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে মারাত্মক ঝুঁিক নিয়ে এসব পরিবারগুলো বসবাস করছে।
এছাড়া উপজেলার হরিণছড়া, রাইখালী ইউনিয়নের ফুইট্টাছড়ি, নোয়াপাড়া, নারানগিরি, কালামাইশ্যা, কারিগরপাড়া সহ বিভিন্নস্থানে আরো কয়েকশ পরিবার জীবনের ঝুঁিক নিয়ে বসবাস করছে। ব্যাঙছড়ি ও ঢাকাইয়া কলোনীর দিন মজুর কয়েক অধিবাসী জানায়, দেশগ্রামে তাদের কোন বসতভিটা নেই। জীবিকার তাগিদে তারা এ এলাকায় এসে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁিক নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে। তারা আরো জানায়, নির্দিষ্ট স্থানে তাদেরকে পুর্নবাসিত করা হলে তারা এ এলাকা ছেড়ে সেখানে বসতভিটা গড়ে তোলবে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ইউএনও তারিকুল আলম জানান, ঝুঁিকপুর্ন এলাকা থেকে স্ব-স্ব উদ্যোগে সরে যাওয়ার জন্য লোকজনকে ইতিমধ্যে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখা গেলে ঝুঁিকপুর্ন এলাকা থেকে লোকজন সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হবে। কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। তবে পূর্নঃবাসনের কোন জায়গা না পাওয়ায় তাদেরকে পুর্নঃবাসনে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031