॥ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ি জেলা সড়কের রামগড়-জালিয়াপাড়া মাত্র ১৯ কিলোমিটার সড়কে রয়েছে শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ মরণবাঁক এর মধ্যে অর্ধশত অধিক বাঁক অধিক ঝুঁকিপূর্ণ আর এসব বাঁকে প্রতিনিয়ত কোন না কোন যানবহন পড়ছে দুর্ঘটনায়। সরকারের সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে এসব অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক দ্রুত কমিয়ে আনার প্রস্তাব থাকলেও এর কোন লক্ষণ দেখা যায়নি।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বণাঞ্চল অধ্যশিত হওয়ায় অধিক বন ও ঝোপঝাড় জঙ্গলে বেষ্টিত সড়ক অনেকটা বনের আড়ালে হারিয়ে যায় খুব কাছে না গেলে বুঝার উপায় নেই সামনে কোন যানবাহন আছে কিনা এতেই প্রায় সময় ঘটেযায় র্দুর্ঘটনা।
খাগড়াছড়ির রামগড় থানার উপ-পরিদর্শক মোবারক জানিয়েছেন, ছোট বড় দুর্গটনাসহ চলতি বছরের শুরুতে ২ জানুয়ারী পাতাছড়া সড়কে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ১জন নিহত ও ২জন গুরুত্বর আহত হয় এবং এর কিছুদিন পর গত ২৪ মার্চ পাতাছড়ায় বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ২৪জন আহত হয়। এছাড়াও প্রতিনিয়ত বাস, সিএনজি, মোটর সাইকেল দুর্গটনার স্বীকার হচ্ছে। এতে অর্ধশত আহত লোক আহত হয়েছে। অত্যাদিক বাঁক থাকায় সড়কটিতে দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেলা বাস-মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, সচেতন ভাবে এ রুটে গাড়ি চালালেও উচুঁ-নিচু বাঁক পেরোতে প্রায় সময় দুর্গটনা ঘটে যায়। এতে যেমন গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তেমনি প্রাণ হারান যাত্রীরা। তিনি বলেন, পেটের দায়ে প্রাণ হাতে নিয়ে এ রুটে গাড়ি চালাতে হয়। সমিতির পক্ষ থেকে এসব ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক অপসারণের লিখিত দাবী জানালে ঝোপঝাড় কিছুটা পরিস্কার হলেও ঝুুঁকিপূর্ণ বাঁক অপসারণে কোন কার্যকর ব্যবস্থা অদ্যবধী চোখে পড়েনি।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলে উদ্দিন জানান, রামগড়-জালিয়াপাড়া ১৯ কি. মি. সবচেয়ে বেশি বাঁক স্বীকার করে বলেন। সড়কের আশ-পাশের ঝোপঝাড় নিয়মিত পরিস্কার করা হয় তাছাড়া প্রতিটি বাঁকে নির্দেশনা দেয়া আছে। তবে বাঁক অপসারণে সড়ক বিভাগের একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে এটি বরাদ্ধ হলে সড়ক সরলীকরনের কাজ করা হবে।