সন্ত্রাসী যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। এই সকল সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
সম্প্রতি পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে নিহত মহালছড়ির মোটর সাইকেল চালক সাদেকুল ইসলামের পরিবারকে গতকাল ১২ মে শুক্রবার সকালে সমবেদনা জানাতে গিয়ে তিনি এ আহবান জানান।
এ সময় রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, মহালছড়ি ইউনিয়ন ৩ নংওয়ার্ড মেম্বার আনোয়ার হোসেন, সাদিকুলের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
মহালছড়ি স্কুলের পাশে সাদেকুল ইসলামের মায়ের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানান এবং তার পরিবারের ভরণ পোষণের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
দীপংকর তালুকদার বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল। এই দল কখনোই সাম্প্রদায়িকতাকে বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, দেশের যেখানেই দূর্যোগ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সেখানেই ছুটে যাবে। পাহাড়ী বাঙ্গালী যেই হোক আমরা তাদের পাশে সব সময় ছিলাম সব সময় থাকবো। তিনি বলেন, সম্প্রতি রমেল চাকমার মা বাবাকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে অনেক জন অনেক কথা বলেছে। আমরা সাদিকুলের বাড়ীতেও এসেছি। তার পরিবারের পাশে আমাদের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আগেও এসেছে। আমিও আজ এসেছি। তার মাকে শান্তনা দিয়েছি।
তিনি বলেন, পাহাড়ের অসহায় মানুষের পাশে আমরা সব সময় আছি। যে কোন কোন অন্যায় অবিচার হবে আমরা সেখানেই ঝাপিয়ে পড়বো। তিনি যে কোন বিপদে সাহস না হারিয়ে মনের জোর রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
গত কিছুদিন আগে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি থেকে দুইজন পাহাড়ী যুবক মোটর সাইকেল চালক সাদেকুলকে ভাড়া করে রাঙ্গামাটির ঘিলাছড়িতে নিয়ে আসে। এর পর সাদেকুল আর ফিরে যায়নি। তিনদিন পর ঘিলাছড়ির এক জঙ্গলে সাকিদুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও অপর জনকে গ্রেফতার করতে পারেনি।