বৃহস্পতিবার সংসদে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের স্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
তবে সম্পত্তি জব্দ করার জন্য সুনির্দিষ্ট কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেবিষয়ে কিছু টেবিলে উত্থাপিত জবাবে কিছু জানানো হয়নি।
কামাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দুই দেশে ‘ল ফার্ম’ নিয়োগ করার পাশাপাশি সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের অবস্থান চিহ্নিত করতে ছবি সম্বলিত তথ্য ইন্টারপোলের মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি গত সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী ও দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের সব স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার চার বছরের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একদল সেনা সদস্য। তারপর বিচারের পথও রুদ্ধ করে দেওয়া হয়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর বিচারের পথ খোলে; মামলার পর বিচার শুরু হলেও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় যাওয়ার পর ফের শ্লথ হয়ে যায় মামলার গতি।
আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর আপিল বিভাগে এ মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ, বজলুল হুদা, মহিউদ্দিন আহমেদ, একেএম মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর করা হয় ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি।
বাকিদের মধ্যে পলাতক আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যান। আর নূর চৌধুরী, আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, আব্দুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন এখনও পলাতক।
সংসদে প্রস্তাব পাসের দিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।